মুক্তিযোদ্ধা ও পুলিশ সদস্যের সন্তান না হয়েও, সেই পরিচয়ে পুলিশে চাকরি করছেন এক ব্যক্তি। এ জন্য বানিয়েছেন, ভুয়া জন্ম ও নাগরিক সনদ। এমনকি মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট পরীক্ষার নম্বরপত্র এবং বিদ্যালয়ের প্রশংসাপত্রটিও জাল।
মো. সাইফুল ইসলাম। ২৯ বছর ধরে বাংলাদেশ পুলিশে চাকরি করেন। বর্তমানে এএসআই পদে যুক্ত আছেন ডিএমপির পাবলিক অর্ডার ম্যানেজমেন্ট শাখায়।
তার বিরুদ্ধে অভিযোগ, অন্যের পিতৃ পরিচয় ব্যবহার করে চাকরি নিয়েছেন পুলিশ বাহিনীতে। জন্ম নিবন্ধন অনুযায়ী সাইফুল ইসলামের বাবার নাম মো. শাহজাহান জমাদার। যিনি একজন প্রয়াত মুক্তিযোদ্ধা ও পুলিশের সাবেক হাবিলদার। সাইফুলের কাগজপত্রে দেয়া ঠিকানা মোতাবেক রাজধানীর মিরপুরের রূপনগরের বাড়িতে যোগাযোগ করে চ্যানেল 24।
কাগজপত্র দেখে চোখ কপালে ওঠে মুক্তিযোদ্ধা শাহজাহান জমাদারের ছেলে সালাহউদ্দিনের। তিনি জানান, পুলিশ সদস্য সাইফুল ইসলাম তার মামাতো ভাই। যার আসল বাবা পিরোজপুরের কাউখালী উপজেলার সয়না রঘুনাথপুর ইউনিয়নে মৃত দেলোয়ার হোসেন।
সালাউদ্দিনের অভিযোগ, তার মুক্তিযোদ্ধা বাবার নাম ব্যবহার করে ভূয়া জন্ম নিবন্ধন তৈরি করেছেন অভিযুক্ত সাইফুল। যার সত্যতা মেলে মুক্তিযোদ্ধা শাহজাহান জমাদারের পরিবারের তথ্য বিবরণী ও ওয়ারিশ সনদে। যেখানে উল্লেখ নেই সাইফুলের নাম।
এখানেই শেষ নয়, পুলিশ সদস্য সাইফুলের ১৯৯২ সালে ম্যাট্রিক পাশের যে সনদ, সেটিকেও জাল বলছে ঢাকার মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড। তবে এসব অভিযোগের বিষয়ে সদুত্তর দেননি এএসআই সাইফুল।
জালিয়াতির মাধ্যমে চাকরি নেয়ায়, গেল মাসে এএসআই সাইফুলের বিরুদ্ধে পুলিশ সদর দপ্তরে অভিযোগ দায়ের করেছেন সাবেক হাবিলদার শাহজাহান জমাদারের ছেলে সালাহউদ্দিন। তবে বিষয়টি তদন্তাধীন থাকায় কথা বলতে রাজি হয়নি ডিএমপির মুখপাত্র।