চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দুই গুরুত্বপূর্ণ নেতা, হাসনাত আবদুল্লাহ ও সারজিস আলমকে, ট্রাক চাপা দিয়ে হত্যার চেষ্টা অত্যন্ত নিন্দনীয় এবং গভীর উদ্বেগের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।
বুধবার (২৭ নভেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে ঘটনাটি ঘটে। ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক মো. তরিকুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেন। ঘটনাস্থলে ট্রাকটি দুটি মোটরসাইকেলকেও ধাক্কা দেয়, যা বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের কর্মীদেরই ছিল।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় সমন্বয়ক খান তালাত মোহাম্মদ রাফি অভিযোগ করেন, ট্রাকটির মালিক একজন আওয়ামী লীগ নেতা, যিনি বর্তমান সরকারের পতনের পর থেকে পালাতক। রাফি আরও দাবি করেন, ঘটনাটি ছিল উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।
রাফি জানান, ড্রাইভার ও হেল্পারকে আটকানোর পর তারা প্রকাশ্যে স্বীকার করে, “চাপা দিয়েছি, কি করবেন? মারবেন? মেরে ফেলেন। জেলে দেবেন? দেন।” তাদের এমন ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ ছাত্র আন্দোলনের সদস্যদের ক্ষুব্ধ করেছে।
রাফি তার লাইভ ভিডিওতে বলেন, “আমরা জানি না আমাদের নিরাপত্তা কতটুকু। দিন-রাত আমরা ছুটে চলেছি, কিন্তু আমাদের ক্ষতি করার জন্য একটি মহল বারবার চেষ্টা করছে। আজকের ঘটনা তারই প্রতিফলন।” তিনি দাবি করেন, এ ঘটনাটি ছাত্র আন্দোলন দমন করার একটি পরিকল্পিত প্রচেষ্টা।
এই ঘটনা বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের কর্মীদের মধ্যে চরম উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। আন্দোলনকারীরা এখন তাদের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কিত। ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত এবং অপরাধীদের কঠোর শাস্তি দাবি করেছেন।
এ ধরনের ঘটনা দেশের গণতান্ত্রিক পরিবেশ ও নাগরিক অধিকার লঙ্ঘনের ইঙ্গিত দেয়। এটি প্রমাণ করে, বিরোধী কণ্ঠস্বর বন্ধ করতে নির্যাতন ও হত্যার প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে। ভবিষ্যতে এ ধরনের কর্মকাণ্ড রোধে নিরপেক্ষ তদন্ত এবং কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া অত্যাবশ্যক।