বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেছেন, ‘রাজনীতিবিদেরা হাত মেলাচ্ছে, আর বিপ্লবীদের ফাঁসির দড়ি এগিয়ে আসছে’। আজ মঙ্গলবার তাঁর ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে এমন মন্তব্য করেন তিনি।
তবে কোন প্রেক্ষিতে তিনি এই পোস্ট দিয়েছেন, তা বিস্তারিত লেখেননি এই তরুণ ছাত্রনেতা।
উল্লেখ্য, আজ সকালে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ৭ নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প ও রক্তদান কর্মসূচির উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘বঙ্গভবন থেকে শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি সরানো উচিত হয়নি।
ইতিহাসে যার যতটুকু অবদান বিএনপি তার সম্মান দিতে চায়। খন্দকার মোশতাক রাষ্ট্রপতি হয়ে বঙ্গভবন থেকে শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি সরিয়েছিলেন। তবে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর সেই ছবি পুনরায় স্থাপন করেছিলেন।’
রিজভীর এই বক্তব্যের কয়েক ঘণ্টা পর হাসনাত আব্দুল্লাহ তাঁর ফেসবুকে ওই পোস্ট দেন। তবে ওই পোস্টের কোনো ব্যাখ্যা তিনি দেননি।
এদিকে রুহুল কবির রিজভী তাঁর বক্তব্য প্রত্যাহারের কথা জানিয়েছে। যেখানে তিনি বলেছেন, ‘আমি মনে করেছিলাম, বঙ্গভবনের দরবার কক্ষে যেখানে সব রাষ্ট্রপতির ছবি থাকে সেখান থেকে শেখ মুজিবের ছবি নামানো হয়েছে। মূলত, ছবিটি সরানো হয়েছিল বঙ্গভবনের অন্য একটি অফিস কক্ষ থেকে।’
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘শেখ হাসিনার ফ্যাসিবাদী শাসনে শেখ মুজিবের ছবি রাখার বাধ্যতামূলক আইন করা হয়ে। ফ্যাসিবাদী আইনের কোন কার্যকারিতা থাকতে পারে না। অফিস-আদালত সর্বত্রই দুঃশাসনের চিহ্ন রাখা উচিৎ নয়। অনাকাঙ্খিত বক্তব্যের জন্য আমি দুঃখিত।’
গতকাল সোমবার রাতেও অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করে পোস্ট দিয়েছেন হাসনাত আব্দুল্লাহ। অন্তর্বর্তী সরকারের নব নিযুক্ত দুই উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন ও মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর অপসারণ দাবি করে করা এক প্রতিবাদ সভা থেকে ৫ জনকে
গ্রেপ্তারের ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি লেখেন, ‘বশির-ফারুকীকে উপদেষ্টা করার প্রতিবাদ সভা থেকে গ্রেফতার করার ঘটনা চরম ফাইজলামি। এগুলা ভণ্ডামি। আপনেরা হাসিনা হয়ে উঠার চেষ্টা কইরেন না। হাসিনারেই থোরাই কেয়ার করছি, উৎখাত করছি। আপনেরা কোন হনু হইছেন?’