26 C
Dhaka
Monday, November 25, 2024

ঢাবি শিক্ষার্থীর গায়ে হাত সেনা সদস্যের, অতঃপর…

শিক্ষার্থীর গায়ে হাত তোলার ঘটনায় তাৎক্ষণিক মশাল মিছিল করে ছাত্র ইউনিয়ন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
শিক্ষার্থীর গায়ে হাত তোলার ঘটনায় তাৎক্ষণিক মশাল মিছিল করে ছাত্র ইউনিয়ন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

রাস্তার অপর পাশে থাকা বন্ধুকে উচ্চস্বরে ডাকার কারণে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের এক শিক্ষার্থীকে লাঠি দিয়ে আঘাত করার অভিযোগ উঠেছে এক সেনা সদস্যের বিরুদ্ধে। পরে প্রক্টরিয়াল টিম ও ঊধ্বর্তন সেনা কর্মকর্তার হস্তক্ষেপে বিষয়টির সমাধান হয়।

শুক্রবার (১ নভেম্বর) রাত ৯ টায় ঢাকা মেডিকেল কলেজের ২ নং গেটের সামনে এই ঘটনা ঘটে। ঘটনার কিছুক্ষণ পর প্রক্টরিয়াল টিমের উপস্থিতিতে ওই সেনা সদস্য ক্ষমা চান।

প্রক্টর সাইফুদ্দিন আহমেদ সেনা কর্মকর্তার উদ্দেশ্যে বলেন, ক্যাম্পাসকে ছাত্রছাত্রীরা নিজেদের বাড়ি মনে করে স্বাচ্ছন্দ্যে বিচরণ করে। যদি কোনোরকম অসুবিধা হয়, আমাদেরকে খবর দিবেন। ইউ শ্যুড নট ডু দিজ থিংস।

সেনা কর্মকর্তা ফেরদৌস ছাত্রদের উদ্দেশ্যে বলেন, সে (রুহুল আমিন) তার যা শাস্তি তার থেকে বেশি পাবে। আপনারা এই বিষয়ে আমাকে বিশ্বাস করেন। আমি আপনাদের জায়গা থেকে উঠে আসা, আপনাদের এখানে পড়াশোনা করা একজন ছাত্র। এতটুকু ভরসা আমার উপর রাখেন।

তিনি তার অধস্তন সেনা সদস্যের হয়ে ছাত্রদের থেকে ক্ষমা চাইলেও ছাত্ররা তা মেনে নেয়নি এবং সেই সেনা সদস্যকে ক্ষমা চাইতে হবে বলে দাবি করে। পরবর্তীতে সেই সেনা সদস্য এসে ক্ষমা চাইলে বিষয়টির নিষ্পত্তি ঘটে।

ভুক্তভোগীদের মধ্যে দুইজন ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ হল এবং একজন ফজলুল হক মুসলিম হলের আবাসিক শিক্ষার্থী। তারা ৩ জনেই ২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী এবং ফলিত গণিত বিভাগে অধ্যয়নরত।

তাদের একজনের ভাষ্যমতে, তারা তাদের এক বন্ধুকে শহীদ ড. মোহাম্মদ মুর্তজা মেডিকেল সেন্টারে রেখে স্কুটারে চড়ে হলের দিকে যাচ্ছিলেন, তখন তাদের বিভাগেরই এক বন্ধুকে রাস্তার অপর পাশে দেখতে পেয়ে ‘এই’ বলে জোরে ডাক দেন। এরপর ঢামেকের ২ নং গেটে কর্মরত রুহুল আমিন নামের এক সেনা সদস্য তাদের ডাক দেন।

রুহুল আমিন তাদের ঘাড়ে হাত দিয়ে ‘আসেন একটু কথা আছে’ বলে তাদের ২ নং গেটের ভিতরে নিয়ে যান এবং জিজ্ঞেস করেন স্কুটারের চালক কে ছিল। চালক সামনে যাওয়ার পর তাকে হাত উঁচু করতে বলে একটি লাঠি দিয়ে শরীরের পিছনের অংশে আঘাত করেন।

স্কুটারে চালকের পর কে বসা ছিল তা জিজ্ঞেস করে তাকেও সামনে আসতে বলেন তিনি এবং আবারো হাত উঁচু করতে বলেন। কি অভিযোগ জিজ্ঞেস করাতে রুহুল আমিন বলেন ‘তোমরা পাবলিক প্লেসে শাউট করছ কেন?’ এবং এই জন্য নাকি তাকে মারা হবে। হাত উঠাতে রাজি না হওয়ায় অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন রুহুল আমিন।

এই ঘটনার পর তারা হলে যান এবং পরবর্তীতে ঢাবির প্রক্টর সাইফুদ্দিন আহমেদকে কল দেন। প্রক্টরিয়াল টিম সেনাসদস্যের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার সাথে যোগাযোগ করেন এবং তিনি আসলে আলোচনা মাধ্যমে বিষয়টির নিষ্পত্তি করেন।

সর্বশেষ সংবাদ
জনপ্রিয় সংবাদ