রংপুরের পীরগাছায় অমুসলিমদের নিয়ে কমিটি গঠন করা নিয়ে নানা আলোচনা-সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে। তবে জামায়াত বলছে, রাজনৈতিক কার্যক্রম পরিচালনার জন্য অমুসলিমদের নিয়ে কোনো কমিটি করা হয়নি। তবে সেবামূলক কার্যক্রম পরিচালনার জন্য ‘নাগরিক সেবা কমিটি’ গঠন করা হয়েছে। এ বিষয়টি মিডিয়ায় ভুলভাবে এসেছে বলেও দাবি দলটির স্থানীয় নেতাদের।
পীরগাছা উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর আমির মাওলানা মোস্তাক আহমদ বলেন, জামায়াত মূলত অমুসলিমদের নিয়ে কিছু সেবামূলক কাজ করে। তারই প্রেক্ষিতে সেদিন সদর ইউনিয়ন জামায়াতের উদ্যোগে হিন্দু ভাইদের নিয়ে একটি মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়। এখানে অমুসলিম ভাইদের বিভিন্ন সেবা দিতে ‘নাগরিক সেবা কমিটি গঠন’ করা হয়েছে। কিন্তু মিডিয়ায় এটি ভুলভাবে এসেছে।
তিনি জানান, সদর ইউনিয়নের এই নাগরিক কমিটিতে মির্জাপুর ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপক ভবেশ চন্দ্র বর্মণ সভাপতি ও ওষুধ ব্যবসায়ী বিজন চন্দ্র দাস সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন। এ ছাড়া কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন, সহসভাপতি পদে দেবী চৌধুরানী ডিগ্রি কলেজের প্রদর্শক তাপস চন্দ্র রায়, সহসম্পাদক কিসামত ঝিনিয়া সনাতন সংঘের সভাপতি সুধারঞ্জন বর্মণ ও অর্থ সম্পাদক দেউতি স্কুল অ্যান্ড কলেজের সহকারী শিক্ষক প্রভাষ চন্দ্র বর্মণ।
বিষয়টি নিয়ে কমিটির সেক্রেটারি বিজন চন্দ্র দাস বলেন, জামায়াতের নেতারা অমুসলিমদের মাঝে সেবামূলক বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনার জন্য আমাদের একটি কমিটি করতে বলেছিল। যাতে আমাদের মাধ্যমে সবার সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করতে পারে। আমরা সেবামূলক কার্যক্রম পরিচালনার জন্য এ কমিটি করেছি। জামায়াতের রাজনীতি করা তো আলাদা কথা।
রংপুর জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি মাওলানা এনামুল হক কালবেলাকে বলেন, হিন্দুদের নিয়ে কোনো কমিটি করা হয়নি। সেদিন সেখানে অমুসলিমদের নিয়ে একটি মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছিল এবং আমি উপস্থিত ছিলাম। রাজনৈতিক কার্যক্রম পরিচালনার জন্য তাদের নিয়ে কোনো কমিটি করা হয়নি। তবে শুনেছি আমরা চলে আসার পর তাদের মধ্যে একটি অভ্যন্তরীণ কমিটি হয়েছে।