প্রতিশোধ নিতে শুক্রবার (২৫ অক্টোবর) রাতে ইরানের তিন প্রদেশে সামরিক কেন্দ্রে হামলা চালায় ইসরায়েল। এই হামলায় ইসরায়েলের অন্তত শতাধিক যুদ্ধবিমান অংশ নিয়েছিল বলে জানিয়েছে ইসরায়েলি গণমাধ্যম জেরুসালেম পোস্ট।
এক প্রতিবেদনে তারা বলছে, ইরানে হামলা চালাতে ইসরায়েলের যুদ্ধবিমানগুলো প্রায় ২ হাজার কিলোমিটার পাড়ি দিয়েছিল। গামলায় অংশ নেয়া শতাধিক যুদ্ধবিমানের মধ্যে সর্বাধুনিক যুদ্ধবিমান এফ-৩৫ ও ছিল।
জেরুসালেম পোস্ট বলছে, ইরানে হামলা অংশ হিসেবে ইসরায়েলি যুদ্ধবিমানগুলো প্রথমে সিরিয়ার রাডার নেটওয়ার্কে হামলা চালায়। যাতে ইরান সিরিয়ার কাছ থেকে ইসরায়েলি যুদ্ধবিমানগুলোর অবস্থান সম্পর্কে জানতে না পারে। এরপরই ইসরায়েলি যুদ্ধবিমানগুলো ইরানের দিকে রওনা হয়।
এদিকে ইরানে হামলা সম্পন্ন হয়েছে বলে ঘোষণা দিয়েছে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী। আইডিএফ মুখপাত্র ড্যানিয়েল হাগারি এক বিবৃতিতে বলেছেন, “আমি এখন নিশ্চিত করতে পারি যে, ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ইরানের হামলার প্রতিক্রিয়া আমরা শেষ করেছি।
আমরা ইরানে সামরিক লক্ষ্যবস্তুতে সুনির্দিষ্ট হামলা চালিয়েছি। ইসরায়েল রাষ্ট্রের তাৎক্ষণিক হুমকিকে ব্যর্থ করে দিয়েছি। ইসরায়েল প্রতিরক্ষা বাহিনী তার মিশন পূরণ করেছে।
এ সময় হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে এই মুখপাত্র বলেন, “ইরানের শাসক যদি নতুন করে হামলা চালিয়ে সংঘাত বৃদ্ধির ‘ভুল’ করে, তাহলে আমরা তার প্রতিক্রিয়া জানাতে বাধ্য হব। আমাদের বার্তা স্পষ্ট: যারা ইসরায়েল রাষ্ট্রকে হুমকি দেয় এবং এই অঞ্চলটিকে আরও বৃহত্তর উত্তেজনার দিকে টেনে আনতে চায়, তাদের চড়া মূল্য দিতে হবে।
আমরা আজ প্রমাণ করেছি যে আমাদের ক্ষমতা এবং সিদ্ধান্তমূলকভাবে কাজ করার সংকল্প উভয়ই রয়েছে। অপরাধ প্রতিরক্ষা করতে, ইসরায়েল রাষ্ট্র এবং ইসরায়েলের জনগণকে রক্ষা করার জন্য প্রস্তুত।
প্রসঙ্গত, শুক্রবার (২৫ অক্টোবর) রাতে ইরানে বিমান হামলা চালায় ইসরায়েল। এতে দেশটির তিন প্রদেশের সামরিক কেন্দ্রে আঘাত করা হয়। পরে ইরানে ডিফেন্স হেডকোয়ার্টার্স জানিয়েছে, “ইরানের বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সফলভাবে তা সনাক্ত করে মোকাবিলা করেছে। তবে কিছু স্থানে সীমিত ক্ষতি হয়েছে। এই ক্ষতির মাত্রা সঠিকভাবে জানতে তদন্ত চলছে।”
হামলার পর মার্কিন প্রতিরক্ষা বিভাগের সদর দপ্তর পেন্টাগন জানিয়েছে ইরানে চালানো ইসরায়েলি বিমান হামলার সঙ্গে তারা জড়িত নয়। তবে ইসরায়েল তাদের হামলার কথা জানিয়েছে।
বাইডেন প্রশাসনের একজন সিনিয়র কর্মকর্তা বলেছেন, ইরানের সামরিক স্থাপনায় ইসরায়েলের হামলা, তেহরানের আগের হামলার লক্ষ্যবস্তু এবং আনুপাতিক প্রতিক্রিয়া বলে মনে হচ্ছে। এতে বেসামরিক ক্ষয়ক্ষতির ঝুঁকিও কম ছিল।