শুক্রবার রাতে ইরানের রাজধানী তেহরানের কাছে শক্তিশালী কয়েকটি বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। বিস্ফোরণের শব্দ পাওয়া যায় রাজধানীর কাছেই কারাজ শহরেও। এর পরপরই ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী জানায়, ইরানে ‘সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যবস্তুতে’ হামলা চালাচ্ছে তারা।
এক বিবৃতিতে আইডিএফ আরও জানায়, ‘এই মুহূর্তে ইরানের সামরিক স্থাপনাগুলোয় সুনির্দিষ্টভাবে হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েলে প্রতিরক্ষা বাহিনী। ইসরায়েলে কয়েক মাস ধরে ইরানের হামলার জবাবে এই পাল্টা হামলা চালিয়েছে তারা।
ইসরায়েলি হামলার পর ইরান তাৎক্ষণিকভাবে কোনো প্রতিক্রিয়া না জানলেও হামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে বিবৃতি দিয়েছে দেশটির প্রতিরক্ষা বাহিনী। ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন চ্যানেলে দেওয়া ওই বিবৃতিতে তেহরানসহ কয়েকটি সামরিক ঘাঁটিতে হামলা হওয়ার কথা স্বীকার করেছেন তারা।
বিবৃতিতে প্রতিরক্ষা বাহিনী বলেছে, রাজধানী তেহরান, খুজেস্তান ও ইলাম প্রদেশের সামরিক লক্ষ্যবস্তুতে হামলা হয়েছে। তবে বেশিরভাগ ক্ষেপণাস্ত্র ইরানের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যাবস্থার মাধ্যমে আকাশেই ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে।
হামলায় ক্ষয়ক্ষতির বিষয়ে ইরানের প্রতিরক্ষা বাহিনী জানিয়েছে, ইসরায়েলের বেশিরভাগ ক্ষেপণাস্ত্র আকাশেই ধ্বংস করা হয়েছে। যে কয়টি ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হেনেছে তাতে কিছু জায়গায় খুব সামান্য ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
এদিকে ইরানে বিমান হামলার আপাতত সমাপ্তির ঘোষণা দিয়েছে ইসরাইল। ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর সিনিয়র মুখপাত্র ড্যানিয়েল হাগারি বলেছেন, ইরানে ইসরায়েলের হামলা শেষ হয়েছে, আর হামলা চালাবেনা ইসরায়েল। তিনি বলেন, ইরান চলতি মাসের শুরুতে তেলআবিবে যে হামলা চালিয়েছিল তার জবাবে ইসরায়েলি প্রতিক্রিয়া সম্পূর্ণ হয়েছে।
কাতার ভিত্তিক সংবাদসংস্থা আল জাজিরা আরও জানিয়েছে, ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র বলেছেন, আমরা ইরানে সুনির্দিষ্ট সামরিক লক্ষ্যবস্তুগুলির বিরুদ্ধে আক্রমণ চালিয়েছি – এবং ইসরায়েল রাষ্ট্রের তাত্ক্ষণিক হুমকিগুলিকে ব্যর্থ করে দিয়েছি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্স-এ দেওয়া এক পোস্টে একথা বলেন তিনি।
হাগারি বলেন, ইরান যদি প্রতিশোধমূলক হামলা চালায়, তাহলে ইসরায়েল ‘প্রতিক্রিয়া জানাতে বাধ্য’।