28 C
Dhaka
Thursday, November 28, 2024

পলকের বিরুদ্ধে মুখ খুললেন সার্টিফিকেট পুড়িয়ে চাকরি পাওয়া ইডেন ছাত্রী!

সার্টিফিকেট পুড়িয়ে চাকরি পাওয়া ইডেন কলেজ ছাত্রী মুক্তা সুলতানা এবার সাবেক আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলকের বিরুদ্ধে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ করলেন। মুক্তা সুলতানা চাকরিতে যোগ দেওয়ার পর বেশ কয়েকবার কুপ্রস্তাব পেয়েছেন তাকে ১০০০০০০ টাকার অফার করা হয়, এমনকী কৌশলে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের তথ্য সংগ্রহ করে দেওয়ার জন্য বলা হয়।

পলক আমাকে বলেন আমরা আগামী ২৫ সালের মধ্যে ১০০০০০ কর্মসংস্থান সৃষ্টি করব আইসিটি ডিভিশনের আওতায় এবং সেই প্রকল্পেও কনটেন্ট ডেভেলপার এবং সোশ্যাল কমিউনিকেশন অফিসার হিসেবে আমাদের আইসিটি ডিভিশনে কাজ করবে বলে আমার কাছ থেকে চাকরিতে আবেদনের বয়স ৩৫ ও আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের তথ্য সংগ্রহ করা হয়!

জানা গেছে, রাজধানীর ইডেন মহিলা কলেজ থেকে ২০১৯ সালে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেও চাকরি মিলছিল না মুক্তা সুলতানার। সেই হতাশায় নিজের অর্জিত সব সনদ পুড়িয়ে ফেলেছিলেন তিনি। সেই মুক্তাকে চাকরি দিয়েছেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।

প্রতিমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে মুক্তাকে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের অধীন ‘এস্টাবলিশমেন্ট অব সিকিউরড ইমেইল ফর গভর্নমেন্ট অ্যান্ড ডিজিটাল লিটারেসি সেন্টার’ প্রজেক্টে ‘কন্টেন্ট ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড সোশ্যাল কমিউনিকেশন অফিসার’ পদে চাকরির নিয়োগপত্র তুলে দেন। এ পদে তার বেতন ৩৫ হাজার টাকা।

আইসিটি বিভাগের জনসংযোগ কর্মকর্তা শহিদুল আলম মজুমদার জানান, কিশোরগঞ্জ জেলার কটিয়াদি উপজেলার বনগ্রামের মুক্তা সুলতানা রাজধানীর ইডেন মহিলা কলেজ থেকে ২০১৯ সালে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন।

হতাশাগ্রস্ত হয়ে গত ২৩ মে ফেসবুক লাইভে এসে ২৭ বছরের অর্জিত সব একাডেমিক সার্টিফিকেট পুড়িয়ে ফেলেন। বিষয়টি একটি বেসরকারি টেলিভিশনের মাধ্যমে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের দৃষ্টিগোচর হয়। প্রতিমন্ত্রী মুক্তা সুলতানার সঙ্গে যোগাযোগ করেন এবং তার দপ্তরে আসার জন্য অনুরোধ জানান।

চাকরি পেয়ে মুক্তা প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে বলেন, আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের সহানুভূতির কারণে আমার চাকরি হয়েছে। আমি তার প্রতি কৃতজ্ঞ। একজন প্রতিমন্ত্রী ফেসবুক ভিডিও দেখে নাগরিকের ক্ষোভ-দুঃখ হতাশা দূর করতে তাকে খুঁজে এনে ব্যক্তিগত উদ্যোগে চাকরির ব্যবস্থা করবেন, তা এখনও তার কাছে বিস্ময়ের বলে মন্তব্য করেন তিনি।

পলক বলেন, দেশের মেধাবী তরুণ-তরুণীরা যেন হতাশাগ্ৰস্ত না হয় এবং আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে এগিয়ে যেতে পারে সেজন্য আইসিটি বিভাগ থেকে প্রশিক্ষণসহ বিভিন্নভাবে সহায়তা দিচ্ছি।

তিনি বলেন, যথাযথ শিক্ষাগ্রহণ করলে বাংলাদেশে কোনো শিক্ষিত তরুণ-তরুণী বেকার থাকবে না। তারুণ্যের মেধা ও প্রযুক্তির শক্তিকে কাজে লাগিয়ে দিয়ে নিজেকে তৈরি করতে পারলে চাকরির পেছনে ঘুরতে হবে না। বরং কর্মসংস্থানের ক্ষেত্র সৃষ্টি করবে। আইসিটি বিভাগ তরুণ-তরুণীদের প্রশিক্ষণ দিয়ে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করছে এবং ভবিষ্যতেও করবে বলেও তিনি জানান।

এ সময় বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের নির্বাহী পরিচালক রণজিৎ কুমার এবং ‘এস্টাবলিশমেন্ট অব সিকিউরড ইমেইল ফর গভর্নমেন্ট অ্যান্ড ডিজিটাল লিটারেসি সেন্টার’ প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ সাইফুল আলম খান উপস্থিত ছিলেন।

সর্বশেষ সংবাদ
জনপ্রিয় সংবাদ