জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদের বলেছেন, ‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আমার অবদান আছে, আমাদের দলের অবদান আছে। আমরা শুরু থেকে শেষ দিন পর্যন্ত আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে অংশ নিয়েছি। এখন আমাদের ফ্যাসিবাদের দোসর বলা হচ্ছে।’
সোমবার (১৪ অক্টোবর) রাত ৮টার দিকে রংপুর নগরীর সেন্ট্রাল রোডের জেলা ও মহানগর জাতীয় পার্টির কর্মী সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
জি এম কাদের বলেন, ‘আমি তাদের জিজ্ঞাসা করেছিলাম, আমাদের দোষ কোথায়? তারা বলেছিল আমরা ২০১৪ সালের নির্বাচন করেছি, ২০২৪ সালের নির্বাচনে অংশ নিয়ে আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় আনতে নাকি বৈধতা দিয়েছি। সে কারণে নাকি আমরা আওয়ামী লীগের দোসর।
কিন্তু আওয়ামী লীগ আমাদের দলের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টির চেষ্টা করেছে, নির্বাচনে আসতে বাধ্য করেছে সেটা তারা বলে না। আমরা বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের প্রথম থেকে তাদের পক্ষে সংসদে এবং সংসদের বাইরে কথা বলেছি।
আবু সাঈদ নিহত হওয়ার পর জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান ও রংপুর সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফাকে সঙ্গে নিয়ে কোনও রাজনৈতিক দলের নেতার আগে তার বাসায় গিয়েছি। সাঈদের শোকাহত পরিবারকে সমবেদনা জানিয়েছি। সহায়তার আশ্বাস দিয়েছি। হত্যাকাণ্ডের নিন্দা জানিয়েছি।’
তিনি বলেন, ‘আমরা শুধু নির্বাচন চাই না, সংস্কারও চাই। সুষ্ঠু নির্বাচনের পর সংস্কার যদি হয় তাহলে প্রধান বাধা হচ্ছে সংবিধান। এটা পরিবর্তন না করলে আবারও একদলীয় ব্যবস্থায় কারও কাছে ক্ষমতা চলে যাবে।
সে কারণে সংবিধানকে সংশোধন করেই নির্বাচন করতে হবে। আমরা সব দলের অংশগ্রহণের মাধ্যমে প্রশাসনকে দলীয়করণমুক্ত রেখে নির্বাচন করতে চাই। জাতীয় পার্টিকে ছোট দল ভাবার কারণ নেই। জাতীয় পার্টির নেতাকর্মী সারা দেশে আছে। গ্রামেগঞ্জ আমাদের সাংগঠনিক শক্তিও আছে।’
জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান ও রংপুর সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফার সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য দেন দলের মহানগর সাধারণ সম্পাদক এসএম ইয়াসির, জেলা সদস্যসচিব আব্দুর রাজ্জাক ও জাপা নেতা লোকমান হোসেন প্রমুখ।