সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়স বাড়ানোর জন্য সরকারের কাছে সুপারিশ করেছে এ সংক্রান্ত পর্যালোচনা কমিটি। এ বিষয়ে আজ বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে অন্তর্বর্তী সরকার।
জানা গেছে, বৃহস্পতিবার উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। বৈঠকের এজেন্ডার মধ্যে বয়সসীমা বাড়ানোর বিষয়টিও রয়েছে। এ নিয়ে আলোচনার করে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। বৈঠকে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস সভাপতিত্ব করবেন।
এর আগে গত সোমবার (১৪ অক্টোবর) জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়স পুরুষদের ৩৫ ও নারীদের ৩৭ বছর করার সুপারিশ করে। পরবর্তীতে সেই সুপারিশ পর্যালোচনা করে নারী-পুরুষ উভয়ের ক্ষেত্রে চাকরিতে প্রবেশের বয়স ৩৫ বছর করার সুপারিশ করে কর্তৃপক্ষ।
বর্তমানে সরকারি চাকরিতে প্রবেশের সাধারণ বয়স ৩০ বছর। তবে মুক্তিযোদ্ধার সন্তান কোটায় আবেদনের সর্বোচ্চ বয়সসীমা ৩২ বছর।
প্রতিবেশী দেশের কথা তুলে ধরে কমিশনের চেয়ারম্যান আবদুল মুয়ীদ চৌধুরী জানিয়েছিলেন, নারীদের বয়সসীমা ৩৭ বছর করার সুপারিশ করা হয়েছে যাতে তারা আরও বেশি সুযোগ পান।
তিনি বলেছিলেন, উপদেষ্টা পরিষদের পরবর্তী বৈঠকে এ প্রস্তাব উত্থাপন করা হবে। এ বিষয়ে আলোচনার পর সরকার সিদ্ধান্ত নেবে। তবে অবসরের বয়সের বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। এটি সরকার পরে বিবেচনা করবে।
উল্লেখ্য, গত ৩০ সেপ্টেম্বর চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বাড়ানোর দাবির বিষয়টি পর্যালোচনার জন্য আবদুল মুয়ীদ চৌধুরীকে প্রধান করে কমিটি গঠন করে সরকার।