১৮তম শিক্ষক নিবন্ধনের লিখিত পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়েছে। এতে রেকর্ড ৮৩ হাজারের বেশি প্রার্থী উত্তীর্ণ হয়েছেন। এর আগের নিবন্ধনগুলোর লিখিততে এত সংখ্যক প্রার্থী উত্তীর্ণ হননি। এ অবস্থায় প্রার্থীদের মনে প্রশ্ন জেগে বিপুল সংখ্যক প্রার্থীর উত্তীর্ণ হওয়ার পেছনের কারণ কী?
প্রার্থীদের মনে জাগ্রত হওয়া প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে কথা বলেছে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) পরীক্ষা মূল্যায়ন ও প্রত্যয়ন শাখার কর্মকর্তাদের সঙ্গে। তারা বলছেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বিপুল সংখ্যক শিক্ষকের পদ শূন্য রয়েছে। এই পদগুলো পূরণ করতেই মূলত অধিক সংখ্যক প্রার্থীকে লিখিত পরীক্ষায় পাশ করানো হয়েছে।
নাম অপ্রকাশিত রাখার শর্তে এনটিআরসিএ’র এক কর্মকর্তা দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, ‘আমাদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো অনেক শিক্ষকের পদ শূন্য। এই পদগুলো পূরণ করতে প্রার্থী পাওয়া যাচ্ছে না। যেহেতু অনেক পদ শূন্য, সেহেতু এবার লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণের সংখ্যাও অনেক বেশি। স্কুল-কলেজ, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যে পদগুলো শূন্য রয়েছে, সেগুলোর অধিকাংশই ১৮তম নিবন্ধনের প্রার্থীদের দিয়ে পূরণ করা হবে।’
১৮তম শিক্ষক নিবন্ধনের লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন ৮৩ হাজার ৮৬৫ জন। এর মধ্যে স্কুল ও সমপর্যায়ের ৫৫ হাজার ৮৯০ জন, স্কুল-২ পর্যায়ের ৫ হাজার ৩২৩ জন এবং কলেজ ও সমপর্যায়ের ২২ হাজার ৬৫২ জন পরীক্ষার্থী লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়।
গত ১৫ মে ১৮তম শিক্ষক নিবন্ধনের প্রিলিমিনারি পরীক্ষার ফল প্রকাশ করে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ)। এতে গড় পাসের হার ৩৫ দশমিক ৮০ শতাংশ। প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় স্কুল ও কলেজ পর্যায় মিলিয়ে পাস করেছিলেন ৪ লাখ ৭৯ হাজার ৯৮১ জন চাকরিপ্রার্থী। গত ১২ ও ১৩ জুলাই লিখিত পরীক্ষায় অংশ নেন ওই প্রার্থীরা।
এর আগে গত ১৫ মার্চ প্রিলিমিনারি পরীক্ষাটি অনুষ্ঠিত হয়। ১৮ লাখ ৬৫ হাজার ৭১৯ জন আবেদন করলেও পরীক্ষায় অংশ নেন ১৩ লাখ ৪০ হাজার ৮৩৩ জন।