চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বাড়িয়ে ৩৫ বছর করতে প্রশাসন (অ্যাডমিন) ক্যাডার কর্মকর্তাদের সংগঠন বাংলাদেশ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের আবেদন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। তবে ওই আবেদনটি ফরওয়ার্ড করে জারি করা মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের চিঠি নিয়ে বিভ্রান্তির সৃষ্টি হয়েছে।
একাধিক গণমাধ্যম দাবি করছে ‘মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ বছর করার প্রস্তাব করেছে’। যদিও মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের কর্মকর্তারা বলছেন, কোন প্রস্তাব নয়, সংগঠনের আবেদন সম্পর্কে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়কে জানানো হয়েছে ওই চিঠিতে।
বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) মন্ত্রিপরিষদ থেকে ওই আবেদনটি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিবের কাছে পাঠানো হয়েছে। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের কর্মকর্তারা বিষয়টি দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে নিশ্চিত করেছেন।
চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বাড়িয়ে ৩৫ বছর করতে চায় দেশের প্রশাসন (অ্যাডমিন) ক্যাডার কর্মকর্তাদের সংগঠন বাংলাদেশ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন। সংগঠনটি অবসরের বয়সসীমা বাড়িয়েও ৬৫ বছর করার আবেদন জানিয়েছে।
অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের এ আবেদনের বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে জনপ্রশাসন মন্ত্রালয়কে জানিয়েছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। বুধবার পাঠানো ওই চিঠির বরাতে একাধিক গণমাধ্যম জানিয়েছে, ‘মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ বছর করার প্রস্তাব করেছে।
যদিও ওই চিঠি স্বাক্ষর করা মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের যুগ্মসচিব মো. সাজ্জাদুল হাসান দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, এটি কোন প্রস্তাব বা চিঠি নয়। আমরা শুধু আবেদনটি ফরওয়ার্ড করেছি। যা রুটিন ওয়ার্ক। এটি ফরওয়ার্ড করা হয়েছে কারণ এটি ওই মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সম্পৃক্ত কর্মকাণ্ড।
দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসের হাতে থাকা ওই চিঠি সূত্রে জানা গেছে, গত ৫ সেপ্টেম্বর অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব মুহাম্মদ মাহবুবুর রহমান সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ বছর ও অবসরের বয়সসীমা ৬৫ বছর পর্যন্ত বাড়ানোর আবেদন জানিয়ে চিঠি দিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে।
যুগ্মসচিব মো. সাজ্জাদুল হাসান স্বাক্ষরিত ওই চিঠিতে বলা হয়েছে, এ বিষয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের কর্মপরিধির সম্পৃক্ততা থাকায় সদয় অবগতি ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।