বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ বলেছেন, ‘আমাদের প্রত্যাশা এই সরকারের কাছ থেকে অনেক বেশি। কারণ ১৬ বছর ধরে আমরা বঞ্চিত হতে হতে, না পেতে পেতে, দুর্নীতির শিকার হতে হতে, আমাদের এই সরকারের কাছে প্রত্যাশার পারদ অনেক বেড়ে গিয়েছে, সেটা আমরা বুঝি।
কিন্তু এই অন্তর্বতীকালীন সরকারকেও আমাদের সময় দিতে হবে। ওভারনাইট কোন কিছু পরিবর্তন হওয়া সম্ভব নয়, রাতারাতি কোন কিছুই চেন্জ হয়না। এই সরকার গঠিত হয়েছে এক মাসের মতো হল। সুতরাং আমরা ছাত্র-নাগরিকদের কাছ থেকে প্রত্যাশা করবো অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কার্যক্রম আমরা দেখি, পরবর্তীতে আমরা এই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বিষয়ে আমাদের যদি কোন অবজারভেশন তখন সেটিকে আমরা নিয়মতান্ত্রিক উপায়ে সরকারের কাছে তুলে ধরবো।
নিজের সন্তান ভেবে পোড়া লাশ দাফন, পরে জানলেন সন্তান হাসপাতালেনিজের সন্তান ভেবে পোড়া লাশ দাফন, পরে জানলেন সন্তান হাসপাতালে
আজ বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) সকালে বান্দরবান সফরকালে জেলা সদরের ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন মতবিনিময় সভায় হাসনাত আবদুল্লাহ এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, ‘অন্তর্বর্তীকালীন সরকার জনমুখী না হয়ে আবার ক্ষমতামুখী হচ্ছে তখনি ছাত্র-নাগরিক প্রয়োজন হলে আমরা এই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বিরুদ্ধে অবস্থান গ্রহণ করবো। আমাদের ছাত্র সমাজের পাওয়ার কিছুই নাই।
আবুস সাঈদ, মুগ্ধরা যখন রক্ত দিয়েছে তখন তারা কিছু পাওয়ার জন্য রক্ত দেইনি। তারা বাংলাদেশকে একটি সুখি সমৃদ্ধ ও স্বৈরাচার মুক্ত বাংলাদেশ দেখতে চেয়েছে। আমরা স্বৈরাচার মুক্ত বাংলাদেশ এবং সুখী সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার দায়িত্ব হচ্ছে আমাদের।
ব্যক্তি স্বার্থকে বিসর্জন দিয়ে আমাদের রাষ্ট্রীয় স্বার্থকে প্রাধান্য দিয়ে আমাদের একসঙ্গে কাজ করে যেতে হবে। আমরা দেখেছি সমন্বয়ক পরিচয়ে, সহ সমন্বয়ক পরিচয়ে ও ছাত্র-নাগরিক পরিচয়ে বিভিন্ন অফিস গিয়ে হুমকি দেওয়া হয়। আমরা স্পষ্ট করতে চাই, ছাত্ররা সহযোগিতা করবে, ছাত্ররা ছাত্রলীগ কায়দায় হুমকি-ধামকি দিবে না।
আমি আবার পায়ে হেটে স্কুলে যেতে চাই, মাআমি আবার পায়ে হেটে স্কুলে যেতে চাই, মা
সমন্বয়ক হাসনাত বলেন, ‘বান্দরবানে শিক্ষা ব্যবস্থা, যাতায়াত, স্বাস্থ্য ব্যবস্থা, পাহাড়ে চাঁদাবাজিসহ সবগুলো বিষয় নিয়ে আমরা ঢাকায় গিয়ে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে কথা বলব। স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে একটার সঙ্গে একটার বিভেদ তৈরি করে দিয়েছে বিদায়ী ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকার। আমরা অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে আহ্বান জানাবো সমতল ও পাহাড়ে যেন একই রকম শিক্ষা ব্যবস্থা করা হয়।’
সভায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের চট্টগ্রামের সমন্বয়ক খান তালাত মাহমুদ রাফি, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র চৌধুরী ইমাদ উদ্দীন ধীমান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী সায়েমা রহমান পায়েলসহ সফরসঙ্গী ও বান্দরবানের সাধারণ ছাত্ররা উপস্থিত ছিলেন।