ড. মুহাম্মদ ইউনূস নামে তোমাদের দেশে এক রত্ন আছে, তোমরা কি তাকে চেন? তোমরা তার মধ্যস্থতায় মুক্তি পেয়েছ। আন্তর্জাতিক মানের এই ব্যক্তিকে সবাই চেনে। সংযুক্ত আরব আমিরাতে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আটক প্রবাসীদের কারাগারে ঊর্ধ্বতন এক পুলিশ কর্মকর্তা গর্ব করে কথাগুলো বলেছিলেন।
ওই পুলিশ সদস্য আরও বলেন, ড. ইউনূস এখন তোমাদের দেশের সরকারপ্রধান। কথাটি শুনতেই প্রবাসীদের বুঝতে দেরি হয়নি। নোবেলজয়ী চট্টগ্রামের সন্তান ড. মুহাম্মাদ ইউনূসই সরকারপ্রধান ইউনূস। তখন খুশিতে সবাই আত্মহারা হয়ে যান।
মুক্ত হয়ে দেশে ফেরা প্রবাসীদের সঙ্গে সময় নিউজের কথোপকথনে এসব কথা জানান তারা।
এসময় প্রধান উপদেষ্টাকে ধন্যবাদ জানিয়ে সরকারের কাছে সহায়তা চান পুনরায় সেদেশে ফিরে যাওয়ার। কথা হয় আরব আমিরাত ফেরত সাইদুল হকের সঙ্গে।
তিনি জানান, দেশে ফিরে বৃদ্ধ মা-বাবার মুখ দেখবেন সেটা কখনো ভাবেননি। কারণ আমিরাতের কড়া আইনে সাজা মওকুফ ছিল অসম্ভব। সাজা মওকুফ সেখানে হয় না। তবে বিশ্ববরেণ্য ব্যক্তিত্ব ও নোবেলজয়ী প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সফল কূটনীতিতে নতুন জীবন ফিরে পেয়েছেন, দেশে আসতে পেরেছেন।
তারা জানান, আন্দোলন আর দেশে ফেরার পেছনে আন্তর্জাতিক ব্যক্তিত্ব প্রধান উপদেষ্টার ক্ষমতার কথা। কারাগারে ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তার গর্ব করে বলা কথাগুলো তার মনে দাগ কেটেছে। পাশে বসা তার বাবা।
ছেলের কারাগারে থাকার কথা বলতেই দুই চোখে গড়িয়ে পড়েছে জল। বুকে ফিরে পেয়ে শোকরিয়া জানান আল্লাহর কাছে। নগরীর রমনা নগরে গিয়ে কথা হয় আল আইনের গাড়ির গ্যারেজের ব্যবসায়ী প্রবাসী জিয়াউল হক জিসানের সঙ্গে। প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, তার কারণে আমরা দেশে আসতে পেরেছি। তিনি না থাকলে বছরের পর বছর কারাগারের কষ্ট সহ্য করতে হতো।
আরেক আবুধাবি প্রবাসী এসকান্দর হোসাইনের সঙ্গে কথা হয়। তিনি বলেন, আমি চাকরি করি। কিন্তু দেশের ছাত্রদের টানে আন্দোলন করি। ছাত্রদের ওপর গুলির দৃশ্য দেখে আন্দোলনে নেমেছিলেন দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে সবাই। আটকা পড়াদের উদ্ধারের পাশাপাশি তাদের পাসপোর্টে নো এন্ট্রির সিল পড়তে পারে। সেটির জন্য সহায়তা চান সরকারের কাছে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের ওপর গুলি ও ইন্টারনেট বন্ধ করায় ১৯ জুলাই আরব আমিরাতের নানা জায়গায় আন্দোলন করায় ৫৭ জনকে আটক করে নানা মেয়াদে সাজা দেয় সেদেশের আদালত। তবে প্রধান উপদেষ্টার তৎপরতায় তাদের সাজা মওকুফ হয়।-সময়নিউজ