ক্ষমতাচ্যুত স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা সরকারের কঠোর সমালোচনার জন্য পরিচিত বিশিষ্ট সাংবাদিক মুশফিকুল ফজল আনসারী প্রায় এক দশক নির্বাসনে থাকার পর বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) যুক্তরাষ্ট্র থেকে বাংলাদেশে ফিরছেন। শুক্রবার বিকাল ৩টায় জাতীয় প্রেসক্লাবে এই নির্বাসিত সাংবাদিক সংবর্ধনা প্রদান করা হবে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সাংবাদিক মুশফিকুল ফজল আনসারী বলেন, “এতদিন পর দেশে ফিরে আমি রোমাঞ্চিত। আমি আমার প্রিয়জন, বন্ধুবান্ধব, ছাত্র-শিক্ষক এবং সহ সাংবাদিকদের সাথে আবার মিলিত হওয়ার অপেক্ষায় আছি।” তবে বৃহস্পতিবার কখন ফিরছেন সে বিষয়ে জানাতে অপারগতা প্রকাশ করেন।
তিনি আরো বলেন, ছাত্র-জনতার সর্বোচ্চ আত্মত্যাগের মাধ্যমে দেশকে স্বৈরাচারী মুক্ত করা হয়েছে, গণতন্ত্র, মত প্রকাশের স্বাধীনতা এবং অন্যান্য মৌলিক অধিকার পুনরুদ্ধারের পথ আজ প্রশস্ত হয়েছে। একজন নোবেল জয়ী অধ্যাপক দেশের ক্রান্তিকালীন অভিভাবকত্ব গ্রহণ করেছেন, জাতি হিসাবে এটা আমাদের গর্বের।
মুশফিকুল ফজল আনসারীর প্রত্যাবর্তন উপলক্ষে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন এবং ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সহযোগিতায় জাতীয় প্রেসক্লাব শুক্রবার বিকালে জাতীয় প্রেসক্লাবে এক সংবর্ধনা ও মতবিনিময় সমাবেশের আয়োজন করেছে।
বর্তমানে ওয়াশিংটন, ডিসিতে অবস্থিত, মুশফিকুল ফজল আনসারী হোয়াইট হাউস এবং জাতিসংঘের স্থায়ী সংবাদদাতা হিসেবে তার কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন।
এছাড়াও তিনি মানবাধিকার সংস্থা রাইট টু ফ্রিডমের নির্বাহী পরিচালক এবং অ্যাম্বাসেডর উইলিয়াম বি মাইলাম সম্পাদিত
বৈদেশিক নীতি ম্যাগাজিন সাউথ এশিয়া পারসপেক্টিভস-এর নির্বাহী সম্পাদক হিসেবেও কাজ করছেন। তার কাজের মাধ্যমে, মুশফিক ফজল আনসারী বাংলাদেশে মানবাধিকার লঙ্ঘন, নির্বাচনী জালিয়াতি এবং কর্তৃত্ববাদী শাসনব্যবস্থাকে ধারাবাহিকভাবে তুলে ধরেছেন।
মুশফিকের সমালোচনামূলক সাংবাদিকতার কারণে ২০১৫ সালের জানুয়ারিতে তাকে নির্বাসিত করা হয়।
এর আগে, তিনি ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সহকারী প্রেস সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। দৈনিক ইত্তেফাকের কূটনীতিক প্রতিবেদক ছিলেন।
এছাড়াও বার্তা সংস্থা ইউএনবি সহ বাংলাদেশের বিভিন্ন মিডিয়া আউটলেটে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রেখেছেন। ছিলেন বিশ্বব্যাংকের কনসালট্যান্ট। ওয়ার্কএক্সিপিরিয়েন্স রিপোর্টার হিসাবে কাজ করেছেন বিশ্বখ্যাত বৃটেনের দ্য টাইমস ও সানডে টাইমস পত্রিকায়।
তিনি জাস্টনিউজবিডি’র সম্পাদক হিসেবে দায়িত্বে আছেন। রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন বিটিভিতে একটি অনুষ্ঠান অ্যাঙ্কর করেছেন, পাশাপাশি এনটিভিতে জনপ্রিয় টিভি অনুষ্ঠান “হ্যালো এক্সেলেন্সি” হোস্ট করেছেন, যেখানে অসংখ্য রাষ্ট্রদূত এবং বিদেশী বিশিষ্ট ব্যক্তিদের উপস্থিতি থাকতেন।