ঢাকাই সিনেমার নায়ক আরিফিন শুভর ব্যক্তি জীবন ও ক্যারিয়ারে যেন শনির দশা শুরু হয়েছে। কদিন আগেই সংসারে বিচ্ছেদের খবর প্রকাশ্যে আনেন। তারপর থেকেই খুব একটা ভালো নেই এ অভিনেতা। এরই মধ্যে আওয়ামী সরকারের আমলে পাওয়া দশ কাঠা প্লটও হারাতে বসেছেন।
‘মুজিব : একটি জাতির রূপকার’ সিনেমায় অভিনয় করে ও মুজিবকন্যা শেখ হাসিনাকে খুশি করে বিশেষ কোটায় পুর্বাচলে প্লট বাগিয়ে নেন। সম্প্রতি সেই প্লট বাতিলের কথা জানা গেছে। এ যেন ‘আমও গেল ছালাও গেল’ অবস্থা।
আওয়ামীঘেঁষা শিল্পী হিসাবে শেখ হাসিনা সরকারের বিরুদ্ধে সংঘটিত ছাত্র আন্দোলনেও তিনি চুপ ছিলেন। তাই ছাত্র আন্দোলনে ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার পর থেকেই অভিনয় ক্যারিয়ার নিয়েও হুমকির মুখে পড়ের শুভ। পড়েন সাধারণ জনগণের রোষানলে। শেখ মুজিবের বায়োপিকের জন্য তিনি এতদিন গর্ব করেছেন, সেই বায়োপিকই হয়ে উঠল শুভর ক্যারিয়ারে সবচেয়ে বড় শত্রু!
নেটিজেনরা বলছেন, একজন শিল্পী হিসাবে জনগণের পক্ষে ও ন্যায়ের সঙ্গে থাকা উচিত ছিল তার। কিন্তু তিনি সেটা করেননি। বরং ছাত্র আন্দোলন চলাকালীন নিজের কয়েক মাস আগের পুরোনো ডিভোর্সের প্রসঙ্গ সামনে এনে ছাত্র আন্দোলনের আলোচনাকে ভিন্ন খাতে প্রবাহ করতে চেয়েছিলেন।
প্রসঙ্গত, বিভিন্ন সময়ে সংরক্ষিত কোটায় বরাদ্দ দেওয়া প্লট বাতিলের উদ্যোগ নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। এরই মধ্যে ‘মুজিব’ সিনেমায় শেখ মুজিবের চরিত্রে অভিনয় করা অভিনেতা আরিফিন শুভকে সংরক্ষিত কোটায় বরাদ্দ দেওয়া রাজউকের প্লটটি বাতিলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তার সঙ্গে সিনেমাটির প্রযোজক লিটন হায়দারের ৩ কাঠা প্লটও বাতিল হচ্ছে। সম্প্রতি গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের শীর্ষ পর্যায় থেকে এ-সংক্রান্ত
নির্দেশনা পাওয়ার পর রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) ও জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষ প্লট বরাদ্দের তালিকা তৈরি করেছে। আরিফিন শুভর প্লট বাতিলের বিষয়টি নিশ্চিত করে রাজউকের চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) মো. ছিদ্দিকুর রহমান সরকার বলেন, ‘মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে আমরা তালিকা প্রণয়নের কাজ শুরু করেছি।
তবে কী পরিমাণ প্লট বাতিল হবে, তা এখনই বলা যাচ্ছে না। মূলত যেগুলো রেজিস্ট্রেশন হয়নি, এমন শতাধিক প্লটের তালিকা তৈরি করা হয়েছে, যা বোর্ড সভায় উপস্থাপন করে বরাদ্দ বাতিল করা হবে।