ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (ঢামেক) চিকিৎসকদের ওপর হামলার পরিপ্রেক্ষিতে ঘোষিত চার দফাকে যৌক্তিক বলে মন্তব্য করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমম্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ।
আজ রবিবার (১ সেপ্টেম্বর) ঢামেকে আন্দোলনরত চিকিৎসকদের সঙ্গে আলোচনা শেষে তিনি এই কথা বলেন।
হাসনাত বলেন, ডাক্তারদের ওপর যে অযাচিত হামলা হয়েছে, তা নিন্দাজনক। স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম চিকিৎসকদের সঙ্গে বসেছেন। আশা করি, এ বিষয়ে ইতিবাচক সিদ্ধান্ত আসবে।
তিনি আরও বলেন, ডাক্তারদের যে অবদান ও পেশাদারিত্ব, তাকে প্রতিস্থাপন করা সম্ভব নয়। ঢাকা মেডিকেলে, সোহরাওয়ার্দী মেডিকেলে, চট্টগ্রাম মেডিকেলে মিডফোর্ডে, মুগদা মেডিকেলে ডাক্তারদের ওপর হামলা হয়েছে।
যারা এইসব হামলার সঙ্গে জড়িত, তাদের বিচারের আওতায় আনা হোক। আমরা চাই ডাক্তারদের পেশাদারিত্বের জায়গা যেন প্রশস্ত থাকে। তারা যেন নিরাপদ অনুভব করে। তা না হলে তারা সেবা দিতে পারবে না।
এর আগে গতকাল শনিবার (৩১ আগস্ট) সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসকদের অবহেলায় বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস টেকনোলজির (বিইউবিটি) শিক্ষার্থী আহসানুল হক দীপ্তর মৃত্যুর অভিযোগ ওঠে।
পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিউরো সার্জারি বিভাগের তিন চিকিৎসককে মারধরের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় সিসিটিভি ফুটেজ দেখে দোষীদের শনাক্ত করে গ্রেপ্তারের আল্টিমেটাম দেন চিকিৎসকরা।
একই দিন মধ্যরাতে খিলগাঁওয়ের সিপাহীবাগ এলাকা থেকে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহতরা ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসা নিতে আসেন। তখন অন্য আরেক গ্রুপ চাপাতিসহ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের ভেতরে ঢুকে যায়। এ সময় হাতেনাতে চারজনকে আটক করে সেনাবাহিনীকে দেয় কর্তৃপক্ষ।
সাফ অনূর্ধ্ব-১৭’র শুরুতেই বাংলাদেশ-ভারতসাফ অনূর্ধ্ব-১৭’র শুরুতেই বাংলাদেশ-ভারত
পরে অন্য আরেক রোগীর মৃত্যুর ঘটনায় হাসপাতালের জরুরি বিভাগের ওয়ানস্টপ ইমার্জেন্সি সেন্টারে ভাঙচুর চালায় রোগীর স্বজনরা। এতে করে নিরাপত্তা শঙ্কায় জরুরি বিভাগের কার্যক্রম বন্ধ করে দেন চিকিৎসকরা। আলটিমেটামের ২৪ ঘণ্টা শেষ হওয়ার আগেই কর্মবিরতিতে যান তারা।