দেশের বাজারে দেশি পেঁয়াজের সরবরাহ কমে যাওয়ায় চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জের বাজারে ঢুকছে চীনা ও পাকিস্তানি পেঁয়াজ। বড় আকারের এসব পেঁয়াজের দামও ভারতীয় পেঁয়াজের চেয়ে কম।
সরেজমিনে দেখা গেছে, নিত্যপণ্যের বড় পাইকারি বাজার খাতুনগঞ্জের পেঁয়াজের আড়তে দেশি পেঁয়াজের সরবরাহ নেই বললেই চলে। আমদানি করা ভারতের পেঁয়াজ পাইকারিতে বিক্রি হচ্ছে প্রতিকেজি ৯৫-৯৭ টাকা। চাহিদা কম হলেও এর বিপরীতে পাকিস্তানি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা, চীনা বড় পেঁয়াজ ৬০ টাকা।
খাতুনগঞ্জের হামিদ উল্লাহ মার্কেট আড়তদার সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ইদ্রিস বলেন, দেশি পেঁয়াজের সরবরাহ নেই বললেই চলে। ৮-১০ দিন হলো পাকিস্তান ও চীনের পেঁয়াজ আড়তে বিক্রি হচ্ছে।
দাম কম হওয়ায় এসব পেঁয়াজ খাবার হোটেলগুলোতেই চলে। গৃহস্থদের পছন্দ দেশি বা ভারতীয় পেঁয়াজ। আশা করি, ডিসেম্বরে দেশি পেঁয়াজের মৌসুম শুরু হবে।
চট্টগ্রাম বন্দরের উদ্ভিদ সংগনিরোধ কেন্দ্রের উপপরিচালক ড. মোহাম্মদ শাহ আলম জানান, গত সপ্তাহে চীন ও পাকিস্তানের পেঁয়াজের দুটি চালান খালাস হয়েছে। পচনশীল এ পণ্য দ্রুত খালাসে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিচ্ছি আমরা।
সড়কে নেই চাঁদাবাজি, কমেছে নিত্যপণ্যের দাম
কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট এস এম নাজের হোসাইন বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে ক্রেতা-বিক্রেতার মাঝখানে কমিশন এজেন্টস নামে একটি মধ্যস্বত্বভোগী ছিল। এরা নিত্যপণ্যের বাজারে প্রবেশ করে লাভের একটি বড় অংশ হাতিয়ে নিত।
সরকার পতনের পর কেউ কেউ গাঢাকা দিয়েছে। আরও কিছু সক্রিয় আছে। নিত্যপণ্যের দাম বাড়ার অন্যতম কারণ কমিশন এজন্টেস ও স্লিপ প্রথা বাণিজ্য। এটি বন্ধ করা গেলে বাজারে সব ধরনের পণ্যের দাম কমে যাবে।