বহুল আলোচিত ‘আয়নাঘর’ নিয়ে সেনাবাহিনীর মেজর জেনারেল জিয়াউল আহসান বলেছেন, আয়নাঘর আমার সৃষ্টি না। আমি নির্দোষ। বুধবার (৭ আগস্ট) আমাকে তুলে নেওয়া হয়। আমি আট দিন ধরে আয়নাঘরে ছিলাম।
শুক্রবার (১৬ আগস্ট) বিকেলে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আরাফাতুল রাকিবের আদালতে রিমান্ড শুনানি চলাকালে বিচারককে এসব কথা বলেন ‘আয়নাঘর’ নিয়ে বিতর্কিত এ মেজর।
ছাত্র-জনতার আন্দোলনে ঘটা হত্যাকাণ্ডে রাজধানীর নিউমার্কেট থানায় করা একটি মামলায় সেনাবাহিনীর অব্যাহতিপ্রাপ্ত মেজর জিয়াউল আহসানকে গ্রেপ্তার করা হয়।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) জানিয়েছে, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার গভীর রাতে রাজধানীর খিলক্ষেত এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। বর্তমানে তাকে ডিবি হেফাজতে রাখা হয়েছে।
এর আগে মেজর জেনারেল জিয়াউল আহসানকে চাকরি থেকে অব্যাহতি দেওয়া কথা জানিয়ে গত ৬ আগস্ট এক বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)।
জিয়াউল আহসান সেনাবাহিনী, র্যাব, এনএসআই হয়ে সর্বশেষ ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টারের (এনটিএমসি) মহাপরিচালকের (ডিজি) দায়িত্বে ছিলেন। সব জায়গায় তার প্রধান কাজ ছিল সরকারবিরোধীদের নজরদারিতে রাখা এবং ‘শায়েস্তা’ করা। তার বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে গুম-খুনের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে।
এদিকে জিয়াউলের জন্যই প্রথমবারের মতো এনটিএমসির ‘মহাপরিচালক’ পদটি সৃষ্টি করা হয়। এনটিএমসি আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোকে ইন্টারসেপশন সহায়তা দিয়ে থাকে। এনটিএমসির সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, তদন্তকারী সংস্থাসহ ৩০টি সংস্থা সরাসরি সংযুক্ত।
উল্লেখ্য, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের তুঙ্গ মুহূর্তে দেশে ইন্টারনেট বন্ধে এই সংস্থার প্রধান জিয়াউল আহসানের ভূমিকা রয়েছে বলে জানা যায়।