মুক্তিযোদ্ধা কোটায় সরকারি চাকরির তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির পদে নিয়োগপ্রাপ্ত জনবলের পূর্ণাঙ্গ তথ্য চেয়েছে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়।
বৃহস্পতিবার মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলোর সচিব/সিনিয়র সচিবদের কাছে এ তথ্য চেয়ে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে চিঠি পাঠানো হয়েছে।
চিঠিতে মন্ত্রণালয়গুলোকে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় নিয়োগ করা জনবলের তথ্য পাঠাতে একটি ছক করে দেওয়া হয়েছে। ছক অনুযায়ী প্রার্থীর নাম, নিয়োগপ্রাপ্ত পদ ও শ্রেণি; বাবার নাম ও পূর্ণাঙ্গ ঠিকানা, যার মুক্তিযোদ্ধা সনদ/গেজেটের পরিপ্রেক্ষিতে নিয়োগপ্রাপ্ত
হয়েছেন (পিতা/মাতা/পিতামহ/মতামহ) তার নাম ও ঠিকানা; মুক্তিযোদ্ধার নাম, পিতা/মাতা/পিতামহ/মাতামহের মুক্তিযোদ্ধা সনদ ও গেজেট নম্বর এবং নিয়োগপ্রাপ্ত হওয়ার তারিখ জানাতে হবে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখে গত ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে দেশ ছাড়েন শেখ হাসিনা। ঐ দিনই বিলুপ্ত হয় মন্ত্রিসভা। পরদিন ৬ আগস্ট দ্বাদশ জাতীয় সংসদ ভেঙে দেন রাষ্ট্রপতি।
এরপর গত ৮ আগস্ট শপথ নেয় অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। এ সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব নেন শান্তিতে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এছাড়া, রয়েছেন ১৬ জন উপদেষ্টা। উপদেষ্টার সংখ্যা আরো পাঁচজন বাড়ছে বলে জানা গেছে।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা হিসেবে রয়েছেন ফারুক-ই-আজম (বীর প্রতীক)।
অভিযোগ রয়েছে, আওয়ামী লীগ সরকারের সময় অনেক ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাকে সনদ দেওয়া হয়েছে। সেই সনদ দিয়ে অনেকে চাকরি নিয়েছেন। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এ বিষয়টি খতিয়ে দেখার পদক্ষেপ নিয়েছে।