রেমিট্যান্স যোদ্ধা ও বিমানবন্দরের যাত্রীদের ‘স্যার’, ‘ম্যাডাম’ সম্বোধন করার আদেশ চান বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) কর্মচারীরা।
রোববার (১১ আগস্ট) বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক) কর্মচারী ফোরাম এ বিষয়ে চেয়ারম্যানকে একটি স্মারকলিপি দিয়েছে।
স্মারকলিপিতে মোট ১২টি বিষয় উল্লেখ করা হয়েছে।
১. রেমিট্যান্স যোদ্ধাসহ সম্মানিত যাত্রী সাধারণকে বিমানবন্দরে কর্মরত প্রতিটি প্রতিষ্ঠানের সব কর্মকর্তা-কর্মচারী যাতে সর্বোচ্চ সম্মান প্রদর্শনপূর্বক ‘স্যার’ বা ‘ম্যাডাম’ বলে সম্বোধন করে, এ লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় আদেশ জারি করতে হবে।
২. বিমানবন্দরে যাত্রী হয়রানি বন্ধে ও সেবা কার্যক্রম অধিকতর মানবীয় করতে প্রয়োজনীয় সংস্কার করার নিমিত্তে বিশেষ টাস্কফোর্স গঠন করতে হবে।
৩. বিগত ১৬ বছরে বেবিচকের যেসব চিহ্নিত কর্মকর্তা-কর্মচারী জোটবদ্ধভাবে কর্তৃপক্ষের স্বাভাবিক কাজে বাধাদানের জন্য বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা এবং প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরের মাধ্যমে সিভিল এভিয়েশনের বিভিন্ন কর্মকর্তার নামে রাজনৈতিক ট্যাগ দিয়ে পত্র প্রেরণ ও তদবিরসহ কর্তৃপক্ষের কাজে অবৈধ প্রভাব বিস্তার করেছে তাদের অনতিবিলম্বে চাকরি থেকে অব্যাহতি দিয়ে সার্বিকভাবে কাজের সুষ্ঠু পরিবেশ প্রতিষ্ঠা করতে হবে।
যাদের রাজনৈতিক ট্যাগ লাগিয়ে যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও পদোন্নতি বঞ্চিত করা হয়েছে, অনতিবিলম্বে তাদের পদোন্নতি প্রদান করতে হুবে এবং যোগ্য কর্মকর্তা-কর্মচারীদের গুরুত্বপূর্ণ পদে পদায়ন করতে হবে। বর্তমানে চলমান নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্নকরণের
আগেই বিগত পাঁচ বছরে যারা লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পরও শুধু গোয়েন্দা রিপোর্টের কারণে চাকরি পায়নি সেসব হতভাগাদের তালিকা করে তাদের নিয়োগের ব্যবস্থা করতে হবে। এ লক্ষ্যে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করতে হবে।
৬. বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরগুলোর নাম পূর্বে যা ছিল তা প্রতিস্থাপন করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে।
৭. সৈয়দপুর বিমানবন্দরের নাম পরিবর্তন করে ‘শহীদ আবু সাঈদ বিমানবন্দর’ রাখার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
৮. বেবিচকের যোগ্য কর্মকর্তাদের কর্তৃপক্ষের ‘সদস্য’ পদে নিয়োগের বিধান চালু করতে হবে।
৯. নির্বাহী পরিচালক পর্যন্ত সিভিল এভিয়েশনের সব পদে কর্তৃপক্ষের অভ্যন্তরীণ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পদায়ন নিশ্চিত করতে হবে।
১০. বিদেশ ভ্রমণের সরকারি আদেশ মন্ত্রণালয়ের পরিবর্তে এই কর্তৃপক্ষ কর্তৃক জারির নিমিত্তে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
১১. সিভিল এভিয়েশনের সব কার্যক্রম যাতে এই কর্তৃপক্ষের আইন অনুযায়ী পরিচালিত হয় এ লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
১২. কর্তৃপক্ষের নিয়োগ, পদোন্নতি, প্রশিক্ষণ, আবাসন, আর্থিক ও জনবল কাঠামো সংক্রান্ত বিদ্যমান অসংগতি দূরীকরণে জরুরি ভিত্তিতে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
স্মারকলিপিটি গ্রহণ করেন বেবিচক চেয়ারম্যানের একান্ত সচিব মোহাম্মদ সোহেল কামরুজ্জামান।