ময়মনসিংহের ত্রিশালে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের ‘মুজিব’ ম্যুরাল ভেঙে ফেলেছেন শিক্ষার্থীরা। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের নামফলক ভাঙতে গিয়ে পড়ে গিয়ে গুরুতর আহত হয়েছেন শিক্ষার্থী শাহজালাল আহমেদ জনি। তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজে নিয়ে যাওয়া হয়।
আহত শিক্ষার্থী চারুকলা বিভাগের ১৫তম আবর্তনের। বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভাষণকে ঘিরে উত্তেজনা ছড়িয়ে পরে নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে। এ সময় ছাত্ররা বিশ্ববিদ্যালয়ের অবশিষ্ট মুজির পরিবারের স্মৃতি ধারক সকল স্থাপনা ভেঙে দেয়ার ঘোষণা দেন। পরে তারা নজরুল ভাস্কর্যে একত্র হয়ে বঙ্গবন্ধু হলে আসে।
এরপর মই দিয়ে হলটির অবশিষ্ট মুজিব ম্যুরাল ভেঙে ফেলেন শিক্ষার্থীরা। পরে বঙ্গমাতা হলের ফজিলাতুন্নেছার ম্যুরাল ও নামফলক ভেঙে দেয়ার জন্য নারী শিক্ষার্থীদের হলটির সামনে গেলে ভেতর থেকে বিভিন্ন শিক্ষার্থীরা ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
নারী শিক্ষার্থীদের তোপের মুখে মই ব্যবহার করে শুরু হয় নামফলক ভাঙার কাজ। এ সময় উভয়পক্ষের মাঝে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় চলে। এমন পরিস্থিতিতে হলের নামফলক ভাঙতে গিয়ে মই পিছলিয়ে পড়ে গিয়ে গুরুতর আহত হন বিশ্ববিদ্যালয়টির চারুকলা বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী শাহজালাল আহমেদ জনি। পরে তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজে নিয়ে যাওয়া হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী রাজু বলেন, ‘আমরা জনিকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে এসেছি। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে এখন কিছুটা সুস্থ আছেন।’
এদিকে শিক্ষার্থীরা রাতেই বিশ্ববিদ্যালয়ের ম্যুরালটি ভাঙার প্রস্তাব করলেও আজ বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার মধ্যে হল প্রশাসনের উদ্যোগে ম্যুরাল ভাঙা ও নামফলক সরিয়ে নেয়ার আশ্বাস দেওয়া হয়। আশ্বাস পেয়ে বিপ্লবী ছাত্ররা রাতেই ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন বলে জানা যায়।