স্ত্রী ও এক কন্যা শিশু নিয়ে তিনজনের পরিবার। গত বুধবার রাতে খাবার খেয়ে শুয়ে পড়ি। হঠfৎ ঘুমন্ত ঘরে পানি ঢুকতে শুরু করে। বাহিরে এসে দেখি এদিক সেদিক সবাই ছোটাছুটি করছে।
তাদের সঙ্গে আমি পরিবার নিয়ে পাশের একটি মাদ্রাসাতে গিয়ে উঠি। ৪৮ ঘণ্টা ভাত কি জিনিস চোখে দেখিনি। কোমর সমান পানি ভেঙে এক কিলোমিটার দূরে বাংগড্ডা বাজারে গিয়ে শুকনো রুটি এনে খেয়েছি। কোন সরকারি ত্রাণ সামগ্রী পাইনি।
সেই সঙ্গে সামাজিকভাবেও কিছু পাইনি। এসব কথা বলার সঙ্গে সঙ্গে তার চোখ দিয়ে গড়িয়ে পড়ে পানি। বলছি কুমিল্লার নাঙ্গলকোট উপজেলার বাংগড্ডা ইউনিয়নের নিমুই গ্রামের সরকারিভাবে গড়ে উঠা গুচ্ছ গ্রামের বসবাস করা মোহাম্মদ গালিব (২৮) এর কথা।
তিনি আরও বলেন, ১০ বছর পূর্বে হিন্দু থেকে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন। পরে মুসলিম পরিবারে বিয়ে করে। অন্যের দোকানে থেকে মোবাইল সার্ভিসিংয়ের কাজ করে সংসার চালান। দিন এনে দিন খান। সরকারি সহায়তা বলতে একটি ঘর পেয়েছেন তিনি। তার মধ্যে পরিবার নিয়ে সংসার করতেছেন।
গত কয়েক দিনের বৃষ্টিতে তার ঘরে পানি ঢুকে সব ডুবে যায়। ঘর থেকে কিছুই বের করতে পারেননি তিনি। সরকারি ঘরগুলা নিচু জায়গায় হওয়ায় সামান্য বৃষ্টি হলে ঘরে পানি ঢুকে। পার্শ্ববর্তী একটি মাদ্রাসায় অবস্থান করছেন। এ পর্যন্ত কোন সরকারি সহায়তা পাননি বলে জানান।
এ বিষয়ে বাংগড্ডা ইউপির চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলামের মোবাইলে একাধিকবার কল দিলেও তিনি ফোস রিসিভ করেননি।ফলে তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।
এ বিষয় নাঙ্গলকোট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুরাইয়া আক্তার লাকি বলেন, খবরটি মাত্র শুনেছি। যত দ্রুত সম্ভব চেষ্টা করব ত্রাণ দেয়ার জন্য।
এ বিষয়ে কুমিল্লা জেলা প্রশাসক খন্দকার মু. মুশফিকুর রহমানের মোবাইলে একাধিকবার কল দিলেও তিনি ফোন রিসিভ না করায় বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।