20 C
Dhaka
Tuesday, November 26, 2024

৩০০ কিলোমিটার বেগে ধেয়ে আসছে সুপার টাইফুন কং-রে

গেল মাসের শেষের দিকে তাইওয়ানে তাণ্ডব চালিয়েছে শক্তিশালী টাইফুন ‘ক্রাথন’। এবার এ অঞ্চলের দিকে ধেয়ে আসছে নতুন সুপার টাইফুন কং-রে। ৩০০ কিলোমিটার বেগে ধেয়ে আসছে এ টাইফুন।

বুধবার (৩০ অক্টোবর) মার্কিন সংবাদমাধ্যমে সিএনএনের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কং-রে এখন তাইওয়ানের দিকে ৩০০ কিলোমিটার গতিবেগে আগাচ্ছে। এর ফলে গোটা দ্বীপ লন্ডভন্ড হয়ে যেতে পারে। এর আগে এটি ফিলিপাইনে আঘাত হেনেছে। এরপর প্রলংকরী আকারে রূপ নিয়েছে।

মার্কিন নৌবাহিনীর যৌথ টাইফুন সতর্কীকরণ কেন্দ্র জানিয়েছে, প্রায় ৩০০ কিলোমিটার বেগে এটিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে। ইতোমধ্যে এটি একটি সুপার টাইফুনে পরিণত হয়েছে এবং তাইতুং কাউন্টিতে আঘাত করার আগে এটি আরও তীব্র হবে বলে আশা করা হচ্ছে৷

ঘূর্ণিঝড়বিষয়ক জয়েন্ট টাইফুন ওয়ার্নিং সেন্টার (জেটিডব্লিউসি) জানিয়েছে, ফিলিপাইন সাগরের ওপর দিয়ে বর্তমানে এটি উত্তর পশ্চিমে অগ্রস হচ্ছে। বুধবার এটি সুপার টাইফুনেন রূপ নিয়েছে।

এর আগে টিডব্লিউসি জানিয়েছে, বর্তমানে এটির গতিবেগ ২৪০ কিলোমিটার। এটি এখন ক্যাটাগরি-৪ মাত্রার ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে এটি তাইওয়ানের দক্ষিণ-পূর্ব উপকূলের কম জনবসতিপূর্ণ কাউন্টি তাইটুং এলাকায় আছড়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।

তাইওয়ানের আবহাওয়া বিভাগের কর্মকর্তা চু সেই লিন জানান, টাইফুনটি উত্তর পশ্চিমের দিকে আগানোর সঙ্গে সঙ্গে রাতের শেষের দিকে গোটা তাইওয়ানে ঝড়ের তাণ্ডব শুরু হতে পারে। মঙ্গলবার ঝড়টি যখন কাছাকাছি ছিল তখন কেন্দ্রীয় আবহাওয়া প্রশাসন (সিডব্লিউএ) এটি সতর্কতা জারি করেছে। বুধবার দুপুর পর্যন্ত দ্বীপের ৫০ শতাংশের বেশি কাউন্টিতে সতর্কতা জারি করা হয়েছে।

আবহাওয়া পূর্বাভাবে বলা হয়েছে, এটি সরাসরি দক্ষিণ পূর্ব উপকূলে ল্যান্ডফল করবে। এরপর কিছুটা দুর্বল হতে পারে। তবে এর প্রভাবে প্রবল বৃষ্টিপাত, জলোচ্ছ্বাস এবং ভূমিধসের ঝুঁকি রয়েছে।

দেশটির আবহাওয়া বিভাগের এক কর্মকর্তা বলেন, টাইফুন আঘাত হানার সময় ৮ মিটার উচ্চতার ঠেউ দেখা দিতে পারে।

পূর্ব উপকূলের বাসিন্দাদের নিরাপদে থাকতে ও পর্যাপ্ত প্রস্তুতি নিতে সতর্ক করেছে তাইওয়ানের কর্তৃপক্ষ। এছাড়া বিভিন্ন স্থানে বিশেষ করে তাইপেতে বৃহস্পতিবার ভারি বৃষ্টির পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।

তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, উদ্ধার ও ত্রাণকাজে সহায়তার জন্য সামরিক বাহিনী ৩৬ হাজার সেনা প্রস্তুত রেখেছে।

উল্লেখ্য, টাইফুল বলা হয় মূলত প্রশান্ত মহাসাগরের পশ্চিমাঞ্চলে তৈরি হওয়া ঘূর্ণিঝড়কে। এর প্রভাবে প্রতিবছর চীন, তাইওয়ান ফিলিপাইন ও জাপানে প্রচুর ক্ষয়ক্ষতি হয়।

সর্বশেষ সংবাদ
জনপ্রিয় সংবাদ