বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষক নিয়োগে ১৮তম শিক্ষক নিবন্ধনের প্রক্রিয়া চলমান। সোমবার (১৪ অক্টোবর) লিখিত পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়েছে। এতে পাস করেছেন ৮৩ হাজার ৮৬৫ জন। চলতি মাসে এ নিবন্ধনের মৌখিক পরীক্ষা শুরু করা হতে পারে। এই পরীক্ষা শেষ করতে অন্তত ৬ মাস লাগবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
এনটিআরসিএ’র একটি সূত্র জানিয়েছে, ১৮তম নিবন্ধনের মৌখিক পরীক্ষার জন্য অনেক আগে থেকেই বোর্ড সদস্যদের তালিকা সংগ্রহ করা হচ্ছে। তবে পরিবর্তিত পরিস্থিতির কারণে পরীক্ষকদের তালিকা পেতে কিছুটা বেগ পেতে হচ্ছে। দ্রুত তালিকা পাঠাতে সংশ্লিষ্টদের তাগাদা দেওয়া হচ্ছে। আগামী সপ্তাহের মধ্যে তালিকা সংগ্রহের কাজ শেষ করে ভাইভার তারিখ ঘোষণার পরিকল্পনা করা হয়েছে।
নাম অপ্রকাশিত রাখার শর্তে এনটিআরসিএ’র পরীক্ষা মূল্যায়ন ও প্রত্যয়ন শাখার এক কর্মকর্তা দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, ‘১৮তম নিবন্ধনে বিপুল সংখ্যক প্রার্থী মৌখিক পরীক্ষার জন্য নির্বাচিত হয়েছেন। তাদের ভাইভা শেষ করতে অনেক সময় লেগে যাবে। এজন্য আমরা দ্রুত মৌখিক পরীক্ষা শুরু করতে চাই। ভাইভা বোর্ডে কারা থাকবেন সে সংক্রান্ত একটি তালিকা তৈরির কাজ চলছে। এটি শেষ হলেই তারিখ জানিয়ে দেওয়া হবে।’
১৮তম শিক্ষক নিবন্ধনের মৌখিক পরীক্ষা শেষ করতে কতদিন সময় লাগতে পারে এমন প্রশ্নের জবাবে ওই কর্মকর্তা আরও বলেন, ১৭তম নিবন্ধনে ২৫ হাজারের কিছু বেশি প্রার্থীর মৌখিক পরীক্ষা নিতে চার মাস লেগেছে। ১৮তম নিবন্ধনের লিখিততে উত্তীর্ণ প্রার্থীর সংখ্যা ৮০ হাজারের বেশি। কাজেই এ পরীক্ষা শেষ করতে কমপক্ষে ৬ মাস সময় লাগবে। এই সময় আরও বেশি লাগতে পারে বলেও জানান ওই কর্মকর্তা।
জানা গেছে, ১৮তম শিক্ষক নিবন্ধনের লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন ৮৩ হাজার ৮৬৫ জন। এর মধ্যে স্কুল ও সমপর্যায়ের ৫৫ হাজার ৮৯০ জন, স্কুল-২ পর্যায়ের ৫ হাজার ৩২৩ জন এবং কলেজ ও সমপর্যায়ের ২২ হাজার ৬৫২ জন পরীক্ষার্থী লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়।
গত ১৫ মে ১৮তম শিক্ষক নিবন্ধনের প্রিলিমিনারি পরীক্ষার ফল প্রকাশ করে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ)। এতে গড় পাসের হার ৩৫ দশমিক ৮০ শতাংশ। প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় স্কুল ও কলেজ পর্যায় মিলিয়ে পাস করেছিলেন ৪ লাখ ৭৯ হাজার ৯৮১ জন চাকরিপ্রার্থী। গত ১২ ও ১৩ জুলাই লিখিত পরীক্ষায় অংশ নেন ওই প্রার্থীরা।
এর আগে গত ১৫ মার্চ প্রিলিমিনারি পরীক্ষাটি অনুষ্ঠিত হয়। ১৮ লাখ ৬৫ হাজার ৭১৯ জন আবেদন করলেও পরীক্ষায় অংশ নেন ১৩ লাখ ৪০ হাজার ৮৩৩ জন।