রাজধানীর কচুক্ষেতে পোশাক শ্রমিকদের বিক্ষোভে সেনাবাহিনী ও পুলিশের গাড়িতে আগুন দেয়ার বিষয়টিকে হালকাভাবে দেখার কোন সুযোগ নেই বলে মন্তব্য করেছেন জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান।
বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) তিনি একথা বলেন।
জামায়াত আমীর বলেন, খুব নিকট সময়ের ভিতরেই গোপালগঞ্জের পর ঢাকার কচুক্ষেতে এই ঘটনা ঘটলো। শ্রমিকদের যদি কোন ন্যায্য দাবি-দাওয়া থাকে তাহলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ন্যায্যতার ভিত্তিতে সমাধান করবেন এটাই তাদের কর্তব্য।
কিন্তু বিক্ষোভকালে সেনাবাহিনী এবং পুলিশের গাড়িতে অগ্নিসংযোগ এটা যদি বিশেষ কোন উদ্দেশ্য সাধনের লক্ষ্যে হয়ে থাকে, দেশ এবং অর্থনীতিকে অস্থিতিশীল করার কোন ছক থেকে থাকে তাহলে বিষয়টি হালকাভাবে দেখার কোনো সুযোগ নেই।
এর আগে রাজধানীর মিরপুর-১৪ নম্বরের কচুক্ষেত এলাকায় বিভিন্ন দাবিতে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন একটি পোশাক কারখানার শ্রমিকেরা। এসময় শ্রমিকদের আন্দোলন থেকে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর উপর ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করা হয়। একপর্যায়ে শ্রমিকরা রাস্তায় এবং সেনাবাহিনী ও পুলিশের ব্যবহার করা লেগুনাতে আগুন ধরিয়ে দেয়।
বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) সকাল ৯টা ৫২ মিনিটে ওই আগুনের খবর পাওয়ার কথা জানিয়ে ফায়ার সার্ভিসের নিয়ন্ত্রণ কক্ষের অপারেটর আব্দুস সামাদ আজাদ বলেন, সেনাবাহিনীর একটি গাড়ি এবং একটি লেগুনাতে আগুনের খবর পেয়ে দুইটি ইউনিট পাঠানো হয়। আগুন নির্বাপণ করা হয়েছে। তাদের কাছ থেকে ফিরতি রিপোর্ট পেলে বিস্তারিত জানা যাবে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বৃহস্পতিবার সকালে ডায়না গার্মেন্টসের শ্রমিকরা বিভিন্ন দাবিতে কচুক্ষেতে সড়কে নেমে বিক্ষোভ শুরু করেন। রাস্তা অবরোধের চেষ্টা করলে পুলিশ ও সেনাবাহিনী শ্রমিকদের শান্ত করার চেষ্টা করেন। এসময় শ্রমিকরা ইট পাটকেল ছুড়তে থাকে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ লাঠিচার্জ করলে বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা সেনাবাহিনীর গাড়ি ও লেগুনা ভাঙচুর করে আগুন ধরিয়ে দেয়।
এমন ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে বিষয়টিকে হালকাভাবে দেখার সুযোগ নেই বলে মন্তব্য করলেন জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা. শফিকুর রহমান।