সংরক্ষিত ইউনিয়ন পরিষদের সদস্যকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর) সকালে যশোরে চিকিৎিসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
নিহত বাসনা মল্লিক (৫০) সদর উপজেলার পোড়াডাঙ্গা গ্রামের নেপাল মল্লিকের স্ত্রী। তিনি মাইজপাড়া ইউনিয়নের ১, ২ ও ৩ নম্বরে সংরক্ষিত সদস্য (মেম্বার) ছিলেন।
জানা গেছে, গত মঙ্গলবার মাইজপাড়া ইউনিয়নের ১, ২ ও ৩ নম্বরে সংরক্ষিত সদস্য বাসনা মল্লিকক টিসিবির মাল বিতরণ করছিলেন। পরে রাজিবুল ইসলাম নামে একজন পাওনা টাকা দেওয়ার কথা বলে তাকে দৌলতপুর গ্রামের মোক্তার মোল্যার বাড়িতে ডেকে নিয়ে যায়।
সন্ধ্যার পরে বাসনা মল্লিককে ঘরের মধ্যে আটকে রেখে দুর্বৃত্তরা সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ ওঠে। ওই রাতে বাসনা মল্লিক বাড়িতে গিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ে। বুধবার পরিবারের লোকজন যশোর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার মৃত্যু হয় তার।
বাসনা মল্লিককে পুত্রবধূ লিপি মল্লিক বলেন, মা (শাশুড়ি) রাতে বাড়িতে এসে শুয়ে পড়ে। রাত বেশি হলে অসুস্থ হয়ে বমি করতে শুরু করে। পরদিন যশোর হাসপাতালে নিয়ে যায়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার সকালের দিকে তার মৃত্যু হয়।
তিনি আরও বলেন, মা জানিয়েছে পাওনা টাকা দেওয়ার কথা বলে তাকে কিছু লোক ডেকে নিয়ে যায়। পরে তাকে কিছু খাইয়ে ধর্ষণ করা হয়েছে। আমরা সুষ্ঠু তদন্ত করে এ ঘটনার বিচার চায়।
মাইজপাড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সফুরা খাতুন বলেন, আমার একজন জনপ্রতিনিধি অস্বাভাবিকভাবে মৃত্যুবরণ করছে। আমি ইউনিয়নবাসীর পক্ষ থেকে সঠিক তদন্ত করে দোষীদের বিচারের দাবি জানাচ্ছি।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাজেদুল ইসলাম বলেন, দুপুরে একজন ইউপি সদস্য যশোরে মৃত্যুবরণ করেছে আমরা এমন সংবাদ পায়। বিষয়টি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও জানান তিনি।