শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস। অন্যান্য বছরের মতো এবারও শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরে (মাউশি) আলোচনা সভা আয়োজনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছিল। তবে আলোচনা অনুষ্ঠান ডেকে পরে তা স্থগিত করল প্রতিষ্ঠানটি।
জানা গেছে, শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে সকাল ১০টায় মাউশিতে এ সভা হওয়ার কথা ছিল। তবে শেষ সময়ে এসে সভা স্থগিত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন অধিদপ্তরের প্রশাসন শাখার উপ-পরিচালক মো. শাহজাহান।
সভাটি স্থগিত করার কথা জানিয়ে অধিদপ্তরের প্রশাসন শাখার উপপরিচালক মো. শাহজাহান বলেন, ‘আলোচনা সভা ডাকা হলেও ডিজি স্যার মন্ত্রণালয়ে কথা বললে তা করতে মানা করা হয়।’ তবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে যে আলোচনা সভা করতে বলা হয়েছিল, তা হবে বলে জানান শাহজাহান।
একাত্তরের ২৫ মার্চ কালরাত থেকে শুরু করে মুক্তিযুদ্ধের পুরোটা সময়জুড়ে বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করে পাকিস্তানি বাহিনী। তবে বিজয়ের প্রাক্কালে এ হত্যাযজ্ঞ ভয়াবহ রূপ নেয়। মুক্তিযুদ্ধে বাঙালির বিজয় যখন অনিবার্য, তখন রাজাকার, আল-বদর বাহিনীর
সহযোগিতায় পাকিস্তানি বাহিনী হত্যা করে বাংলাদেশের প্রথিতযশা বুদ্ধিজীবীদের। ১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী পরিকল্পিতভাবে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক, চিকিৎসক, শিল্পী, লেখক, সাংবাদিকসহ বহু খ্যাতিমান বাঙালিকে বাসা থেকে তুলে নিয়ে হত্যা করে।
স্বাধীনতার পর থেকে প্রতি বছর বাংলাদেশ ১৪ ডিসেম্বর পালন করে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস হিসেবে। গণঅভ্যুত্থানে রাষ্ট্র ক্ষমতার পালাবদলের পর শনিবার প্রথম বুদ্ধিজীবী দিবস পালন করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ।