যুক্তরাজ্য থেকে অন্তত অর্ধেকের বেশি রেমিট্যান্স প্রেরণ কমে গেছে বলে জানিয়েছেন লন্ডনের বেশ কয়েকটি মানি ট্রান্সফার প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারীরা। দেশে চলমান কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে প্রবাসীদের রেমিট্যান্স শাট ডাউন কর্মসূচির পর থেকেই অনেক প্রবাসীরা দেশে নিতান্ত প্রয়োজন ছাড়া টাকা পাঠানো কমিয়ে দিয়েছে বলে জানান তারা।
এছাড়া দেশের বিভিন্ন ব্যাংকে চাহিদা অনুযায়ী গ্রাহকদের টাকা সরবরাহ করতে না পারার অভিযোগও শোনা যাচ্ছে।
ফলে অধিকাংশ প্রবাসী টাকা পাঠানো নিয়ে চিন্তায় পড়ে গেছেন। তারা বারবার এ বিষয়ে মানি ট্রান্সফার প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের সাথে যোগাযোগ করেছেন।
এ বিষয়ে যুক্তরাজ্যের লন্ডন শহরে বসবাসকারী আব্দুল মুনিম খান বলেন, “আমরা জানি বাংলাদেশের অর্থনীতির অগ্রযাত্রার অন্যতম নির্ভরশীল সূচক রেমিট্যান্স বা প্রবাসী আয়। কিন্তু চলমান পরিস্থিতিতে কি ঘটে তা নিয়ে উদ্বেগে আমার মতো অনেক প্রবাসী দেশে টাকা পাঠাচ্ছেন না।”
জাহেদ আহমদ আরেক প্রবাসী জানান, “দেশের ব্যাংক গুলোতে তারল্য সংকট দেখা দিয়েছে। কোনো ব্যাংকই একসাথে দুই লাখ টাকা দিতে পারছে না। তাই আপাতত দেশে টাকা পাঠাচ্ছি না।
আমার পরিচিত অনেকেই টাকা পাঠিয়ে বিপদে আছেন। তাদের পরিবার প্রেরণ কৃত পুরো টাকা হাতে পাচ্ছে না।”
মোবাইল ইন্টারনেটে ৫ ঘণ্টা পর ফেসবুক চালুমোবাইল ইন্টারনেটে ৫ ঘণ্টা পর ফেসবুক চালু
এ ব্যাপারে মন্তব্য করতে গিয়ে লন্ডনের এক্সিম এক্সচেঞ্জের সিইও মোহাম্মদ জসীম উদ্দীন বলন, “গত কয়েকদিনে অন্তত ৬০ শতাংশ রেমিট্যান্স পাঠানো কমেছে।”
পিবিএল এক্সচেঞ্জের এমডি মাহবুবুর রহমান শিবলু বলেন,“ অর্ধেকের বেশি রেমিট্যান্স পাঠানোর হার কমেছে। সারা দিনে দুই বা তিনটির বেশি ট্রান্সজেকশন হচ্ছে না। উল্টো দেশে ব্যাংকে থাকা টাকা,বন্ড,ফিক্সড ডিপোজিট থেকে টাকা লন্ডনে আনার জন্য অনেকে আমাদের সাথে যোগাযোগ করছেন।”
প্রতিবাদরাজপথে কবি-শিল্পী ও সাহিত্যিকদের প্রতিবাদ
তবে লন্ডনে আইএফআইসি ব্যাংকের মালিকানাধীন আইএফআইসি মানি ট্রান্সফারের সিইও মনোয়ার হোসেন বলেন, “ব্রিটেনে হলি ডে সিজন চলছে। মানুষ হলিডেতে।
সে কারণে রেমিট্যান্স প্রবাহ কমেছে। রেমিট্যান্স শাট ডাউন বা কারো কর্মসুচীর কারণে যে শুধু রেমিট্যান্স প্রবাহ কমেছে সেটি নয়।