25 C
Dhaka
Sunday, April 20, 2025

মেয়েকে ছাত্রদের আন্দোলনে যেতে বলেছিলেন মাশরাফি

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখে গত ৫ আগস্ট পতন হয়েছে শেখ হাসিনা সরকারের। পদত্যাগ করে ভারতে পাড়ি জমিয়েছেন সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী। দলপ্রধানের দেশত্যাগের পর গা ঢাকা দিয়েছেন বাকি সংসদ সদস্য ও মন্ত্রীরা। অনেকে দেশও ছেড়েছেন। তবে দেশেই আছেন নড়াইল-২ আসনের এমপি মাশরাফি।

আওয়ামী লীগ গঠিত সরকার পতনের এক সপ্তাহের বেশি সময় গেলেও চুপ ছিলেন মাশরাফি। ৯ দিন পর অবশেষে একটি বেসরকারি অনলাইন পোর্টালের সঙ্গে কথা বলতে রাজি হয়েছেন তিনি।

জানিয়েছেন, ছাত্রদের আন্দোলনের পক্ষে কথা বলতে না পেরে পুরোপুরি হতাশ তিনি। যৌক্তিক আন্দোলনে নিজের অবস্থান জানাতে না পারার দায় পুরোপুরি নিয়েছেন সাবেক তারকা ক্রিকেটার।

মাশরাফি বলেন, ‘এই কষ্ট থাকবেই। হয়তো আজীবন থাকবে। দেশের একটা ক্রাইসিস মুহূর্তে পাশে থাকতে পারিনি, কিছু করতে পারিনি, এটা আমাকে সব সময়ই ভোগাবে, পোড়াবে। সব সময়ই থেকে যাবে। সব সময় সব কথা বলা যায় না।

কিছু জিনিস হয়তো বলার ব্যাপারও নয়। এত দিন চুপ ছিলাম। আজকে কিছু বলছি। কিছু হয়তো সামনে বলব। জীবনে অনেক কিছু হবে। তবে এই কষ্টটা রয়ে যাবে। যত কিছুই হোক, এটা কখনো যাবে না। নিজের ওপর সেই হতাশা সব সময়ই থাকবে।’

কোটা সংস্কার আন্দোলন যৌক্তিক বলে উল্লেখ করেন মাশরাফি নিজেও। জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক পেসার বলেন, ‘কোটা সংস্কারের আন্দোলন অবশ্যই যৌক্তিক ছিল। আমার নিজের কাছেও মনে হচ্ছিল, এটা হয়ে যাবে।

তবে সবাই যখন চাচ্ছিল যে আমি কিছু একটা বলি বা স্ট্যাটাস দিই (ফেসবুকে)…ততক্ষণে আসলে সব কিছু এত দ্রুত হচ্ছিল…ভাবছিলাম যে আমি যদি কিছু লিখি বা মন্তব্য করি, সেটার সম্ভাব্য পরিণতি কী হতে পারে…অনেক কিছু ভাবছিলাম আর কী…সব মিলিয়ে কিছু লেখা হয়নি।’

নিজে কিছু না বললেও পরিবারের সদস্যদের ছাত্র আন্দোলনে যেতে বাধা দেননি, বরং উৎসাহ দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন মাশরাফি। মেয়েকে বলেছেন, সহপাঠীদের সঙ্গে আন্দোলনে থাকতে।

মাশরাফি বলেন, শুধু আমি নই, আমার মনে হয়, এই আন্দোলন নিয়ে যা কিছু লিখতে বা করতে পারেনি, তাদের সবাইকেই এই প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হয়েছে নিজের পরিবার, বন্ধু-বান্ধব বা ঘনিষ্ঠজনদের কাছে।’

‘আমার মেয়ে হুমায়রা ইনস্টাগ্রাম ব্যবহার করে। আমার সেখানে অ্যাকাউন্ট থাকলেও সেভাবে দেখতাম না, ওকেও ফলো করতাম না। আমাকে আমার এক ছোট ভাই জানাল যে, হুমায়রা ইনস্টাগ্রামে অনেক কিছু দিচ্ছে বা শেয়ার করছে। ১৭ জুলাই থেকেই দিচ্ছে। আমি ওকে জিজ্ঞেস করলাম।

ও বলল, ‘হ্যাঁ, আমি এসব দিচ্ছি। তোমার কি আপত্তি আছে?’ আমি বললাম, ‘না, আমার সমস্যা নেই।’ আমি বরং ওকে এটাও বলেছি, ‘তোমার স্কুল থেকে বা বন্ধুরা আন্দোলনে গেলে তুমিও সঙ্গে থেকো।’ আমার পদের জন্য বা চেয়ারের জন্য তাকে বাধা পেতে হবে, এটা কখনও চাইনি’- যোগ করেন মাশরাফি।

সর্বশেষ সংবাদ
জনপ্রিয় সংবাদ