ফরিদপুরের ভাঙ্গায় গোসল করাকে কেন্দ্র করে মসজিদের ভেতরে ঢুকে বিএনপি নেতাদের বেধড়ক পিটিয়েছেন আওয়ামী লীগের নেতারা। এ সময় পাঁচজন আহত হয়েছেন।
আসাদুজ্জামান নোমান ঘারুয়া ৯নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি।
বুধবার (১৩ নভেম্বর) ফজরের নামাজের সময় উপজেলার ঘারুয়া ইউনিয়নের হাজরাকান্দা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। আহতদের ভাঙ্গা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, হাজরাকান্দা গ্রাম দুটি দলে বিভক্ত। দুটি দলই নিক্সন চৌধুরীর সমর্থক। একটি দলের নেতৃত্ব দেন জব্বার মাস্টার, অন্য দলের নেতৃত্ব দেন জুলহাস মেম্বার।
মঙ্গলবার দুপুরে জুলহাস মেম্বার দলের পান্নু খালাসির সঙ্গে জব্বার মাস্টারের দলের দুলাল খালাসির গোসল করা নিয়ে কথাকাটাকাটির একপর্যায়ে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। সেই ঘটনায় উভয়ের মাঝে সালিশ বৈঠকে বসার সময়ও নির্ধারণ হয়।
পরে বুধবার জব্বার মাস্টারের দলের আসাদুজ্জামান নোমানসহ আরও ৫-৬ জন ফজরের নামাজ আদায় করতে মসজিদে রওনা দেন। এ সময় রাস্তায় ওত পেতে থাকা জুলহাস মেম্বারের দলের লোকজন আনোয়ার খালাসী, বালা খালাসী, মন্নু খালাসী, সোহেল খালাসী, মিরাজ মাতুব্বর, অন্তর, শীতল, নিলু পেছন থেকে ধাওয়া করে। তখন বিএনপি নেতা ও তার লোকজন দৌড়ে মসজিদের ভেতর আশ্রয় নেন। সেখানে গিয়ে প্রতিপক্ষরা মসজিদের ভেতরে গিয়ে হামলা চালায়।
এ সময় আসাদুজ্জামান নোমান (৫০), আক্কেল আলী (৫৩), আওলাদ আলী (৫৮) ও দুলাল খালাসী (৪৫) গুরুতর আহত হন।স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে ভাঙ্গা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।
এ ঘটনায় দলনেতা জুলহাস মেম্বার জানান, গতকাল জব্বার মাস্টারের লোকজনরা পান্নুর বউকে মারধর করে। সে হাসপাতালে ভর্তি আছে। পরে আমাকে না জানিয়ে ওরা মসজিদে হামলা চালিয়েছে।
অন্যদিকে আরেক দলের নেতা জব্বার মাস্টার জানান, আগের দিন একটা ঘটনা ঘটলে রাতেই মীমাংসা হয়ে যায়। তারপরেও আমার লোকজন ফজরের নামাজ পড়তে গেলে ওই গ্রুপটি মারধর করে। আহতরা সবাই বিএনপির লোকজন।
ভাঙ্গা থানার ওসি মোকছেদুর রহমান জানান, মারামারির এমন একটি ঘটনার খবর পেয়েছি। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।