টানা ভারী বৃষ্টি ও ভারতের ত্রিপুরা রাজ্য থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল সিলেট হবিগঞ্জের খোয়াই নদের পানি হু হু করে ঢুকছে কিশোরগঞ্জের হাওরে।
ফলে দুশ্চিন্তায় দিন কাটছে হাওর জনপদের মানুষের। এদিকে পানিবন্দী হওয়ার আশঙ্কার তৈরি হয়েছে ইটনা মিঠামইন ও অষ্টগ্রাম, উপজেলার বাসিন্দাদের।
বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) হাওরের ভাসমান সড়কের কালভার্ট গুলোতে তীব্র গতিতে পানি আসতে দেখা যায়। গত দুদিনে হাওরে পানি বেড়েছে। ফলে দুশ্চিন্তায় দিন কাটছে হাওর জনপদের মানুষের৷
স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে, সিলেট হবিগঞ্জের প্রধান নদ খোয়াইয়ের উৎপত্তিস্থল ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যে। গত কদিন ভারতে প্রচুর বৃষ্টিপাত হওয়ায় নদীতে পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে।
খোয়াই নদীর সিলেট হবিগঞ্জের মাছুলিয়া পয়েন্টে বিপৎসীমার ১৯৫ সেন্টিমিটার ও ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের বাল্লা পয়েন্টে ২৩১ দশমিক ৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। এতে দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় জনপদ কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রাম, ইটনা ও মিঠামইন হাওরাঞ্চলে দ্রুত বাড়ছে পানি।
এ বিষয়ে জেলা পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী শামীম হাসনাইন মাহমুদ জানান, খোয়াই নদীর উৎপত্তিস্থল ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যে গত দু’দিন প্রচুর বৃষ্টিপাত হওয়ায় নদীতে পানি বৃদ্ধি পায়।
খোয়াই নদীর জেলা শহরের মাছুলিয়া পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ১৯৫ সেন্টিমিটার এবং ভারত বাংলাদেশ সীমান্তের বাল্লা পয়েন্টে ২৩১.৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। প্রতিনিয়তই পানির গতি বাড়ছে। কয়েকটি বাঁধ ভেঙে পানি ছড়িয়ে পড়ছে। তবে দুই–এক দিনের মধ্যে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হবে বলে তিনি জানান।
কিশোরগঞ্জ পাউবো নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মতিউর রহমানের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, হবিগঞ্জসহ উজানের পানি কমতে শুরু করেছে। তাই কিশোরগঞ্জ হাওরাঞ্চলে আগামী এক দুইদিনে পানি বাড়বে। তবে হাওরে বন্যা হওয়ার কোনো পূর্বাভাস নেই।