ভারতকে নেতৃত্ব দিয়ে বাংলাদেশের সংবিধান সমুন্নত রাখার আহ্বান জানিয়েছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়। বুধবার (১৪ আগস্ট) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে এই আহ্বান জানান তিনি।
সজীব ওয়াজেদ জয় বলেন, বাংলাদেশ ভারতের দোরগোড়ায় অবস্থিত। আমি আশা করব ৯০ দিনের সাংবিধানিক সময়সীমার মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে, সেটা ভারত নিশ্চিত করবে।
অরাজকতা বন্ধ হবে। আওয়ামী লীগকে প্রচারণা ও পুনর্গঠনের সুযোগ দেয়া হবে। যদি তা নিশ্চিত করা হয় আমি এখনো নিশ্চিত যে আমরা নির্বাচনে জয়ী হবো। আমরা এখনো সবচেয়ে জনপ্রিয় দল।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে দেয়া ওই সাক্ষাৎকারে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন সামাল দেয়ার ক্ষেত্রে সরকার ভুল করেছে বলেও স্বীকার করেছেন শেখ হাসিনার ছেলে। ওয়াশিংটন ডিসি থেকে দেয়া ওই ভিডিও সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, সরকারের প্রথম থেকেই আন্দোলনকারীদের সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়ে কোটার বিরুদ্ধে কথা বলা উচিত ছিল।
শেখ হাসিনার সাবেক এ আইটি উপদেষ্টা বলেন, আমি মনে করি আমাদের সরকারের উচিত ছিল কোটার বিরুদ্ধে কথা বলা। আদালতের হাতে ছেড়ে দেয়ার পরিবর্তে শুরু থেকেই আন্দোলনকারীদের সঙ্গে দেখা করা।
তবে এগুলো না করে আমাদের সরকার কোটা কমাতে সুপ্রিম কোর্টে আপিল করেছে। আদালত ভুল করেছে। আমরা কোটা চাই না বলে আমি সবাইকে আশ্বস্ত করার সুপারিশ করেছিলাম। কিন্তু আমাদের সরকার সেটা শুনেনি এবং বিচার ব্যবস্থার ওপর বিষয়টি ছেড়ে দিয়েছে।
শিক্ষার্থীদের এই আন্দোলন সহিংস হয়ে ওঠার পেছনে বিদেশি গোয়েন্দা সংস্থার হাত ছিল বলেও দাবি করেন জয়। তিনি বলেন, আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি যে একটি বিদেশি গোয়েন্দা সংস্থা এর পেছনে জড়িত ছিল। কারণ ১৫ জুলাই থেকে অনেক আন্দোলনকারীর কাছে আগ্নেয়াস্ত্র ছিল।
গত ১৫ বছরে জঙ্গিবাদ নিয়ন্ত্রণে আমাদের সফলতার কারণে বাংলাদেশে আগ্নেয়াস্ত্র পাওয়া খুবই কঠিন। একমাত্র কোনো বিদেশি গোয়েন্দা সংস্থাই বাংলাদেশে আগ্নেয়াস্ত্র পাচার ও আন্দোলনকারীদের কাছে সরবরাহ করতে পারে।