গত কয়েকদিন ধরেই বিতর্কিত হিন্দু পণ্ডিত চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে গ্রেপ্তার নিয়ে মাতামাতি চলছে ভারতে। এছাড়া বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতন বেড়ে গেছে বলে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমে ঢালাওভাবে প্রচার করা হচ্ছে। চিন্ময় ইস্যুতে ইতোমধ্যে গভীর উদ্বেগ জানিয়ে বিবৃতিও দিয়েছে দেশটি।
দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়টি নিয়ে এমন মাতামাতি অপছন্দ করছেন বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা। এছাড়াও পতিত আওয়ামী সরকার নিয়ে ভারতের অবস্থান নিয়েও হতাশ শিক্ষার্থীরা। এর প্রেক্ষিতে বাংলাদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের মাটিতে ভারতের এবং ইসরায়েলের পতাকার নকশা এঁকে সেটির উপর হেঁটে প্রতিবাদ জানাচ্ছেন তারা।
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়েও (বুয়েট) এমন ঘটনা চোখে পড়ে। বুয়েটের এ ঘটনায় মন্তব্য করেছেন নির্বাসিত লেখক তসলিমা নাসরিন। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবীরা ভারতের পতাকাকে পায়ে মাড়িয়ে যে সুখ পাচ্ছে, সে সুখ বিকৃত সুখ’। শুক্রবার (২৯ নভেম্বর) রাত সোয়া ৮টার দিকে তার ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে লেখা এক পোস্টে এমন মন্তব্য করেন তিনি।
পোস্টে তিনি লিখেছেন, ‘বিশ্বের কোনও পতাকাকে কোনও সুস্থ মস্তিষ্কসম্পন্ন মানুষ অপমান করে না। আমি বিশ্বের প্রতিটি পতাকাকে সম্মান করি, প্রতিটি দেশের জাতীয় সঙ্গীতকে সম্মান জানাতে আমি উঠে দাঁড়াই।
তিনি আরও লেখেন, পাকিস্তান যে এত আমাদের শত্রু দেশ, আমি পাকিস্তানের পতাকাকেও পোড়াবো না, পায়ে মাড়াবো না। বাংলাদেশে প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবীরা ভারতের পতাকাকে পায়ে মাড়িয়ে যে সুখ পাচ্ছে, সে সুখ বিকৃত সুখ। যে মস্তিষ্কে ঘৃণা থিকথিক করে, সে মস্তিষ্ক অসুস্থ মস্তিষ্ক। দুঃখ এই, বাংলাদেশ নামের দেশটি অসুস্থ অশিক্ষিত অপ্রকৃতিস্থ লোকে ভরে গেছে।