রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের অপসারণ ইস্যুতে বিএনপির সঙ্গে বৈঠকে বসেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটির নেতারা।
শনিবার (২৬ অক্টোবর) বিকেল ৫টা ১৫ মিনিটে রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এ বৈঠক শুরু হয়, যা এখনও চলছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান জানান, বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সঙ্গে বৈঠকে বসেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও নাগরিক কমিটির নেতারা।
এর আগে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা বলেছিলেন, রাষ্ট্রপতির অপসারণ ইস্যুতে বিএনপি, জামায়াতসহ রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বৈঠকে করবেন।
বিএনপি সূত্রে জানা গেছে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ ও জাতীয় নাগরিক কমিটি আহ্বায়ক নাসিরুদ্দিন পাটোয়ারী, সদস্য আকতার হোসেনসহ সাতজন বৈঠকে অংশ নিয়েছেন। আর বিএনপির নেতাদের মধ্যে উপস্থিত আছেন স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহ উদ্দিন আহমেদ, বিএনপি যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানী প্রমুখ।
এর আগে, বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) রাতে একই ইস্যুতে আলোচনা করতে গুলশানে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদের বাসায় যান বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটির নেতারা। পরে সেখানে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীও যোগ দেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রমতে, বিএনপি নেতাদের সঙ্গে ওই বৈঠকে দুই সংগঠনের নেতারা রাষ্ট্রপতির পদ থেকে মো. সাহাবুদ্দিনকে সরানোর দাবির পক্ষে যুক্তি তুলে ধরেন। তাদের যুক্তি হচ্ছে, ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগের দালিলিক প্রমাণ নেই বলে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন যে বক্তব্য দিয়েছেন, এরপর তিনি রাষ্ট্রপতির পদে থাকার যোগ্যতা হারিয়েছেন। ওই বক্তব্যের পরও কোনো ব্যবস্থা নেওয়া না হলে অন্তর্বর্তী সরকার প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে যায়। সেজন্য তারা আলোচনার মাধ্যমে তাদের দাবির পক্ষে রাজনৈতিক দলগুলোকে বোঝাতে চাইছেন।
অনানুষ্ঠানিক ওই বৈঠকে বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হয়, রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিনের প্রতি বিএনপির কোনো সহানুভূতি নেই; কিন্তু তাকে সরানোর চেষ্টার পেছনে অন্য কোনো বিষয় আছে কি না, অথবা সরানোর পর কী পরিস্থিতি হতে পারে, এসব নিয়ে সংশয় আছে বিএনপিতে।
এ ছাড়া ২৩ অক্টোবর সালাহউদ্দিন আহমেদসহ দলটির শীর্ষ পর্যায়ের তিনজন নেতা প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে দেখা করে এ মুহূর্তে কোনো সাংবিধানিক সংকট সৃষ্টি না করার কথা বলেছিলেন। এ মুহূর্তে রাষ্ট্রপতির পদে শূন্যতা তৈরি হলে সাংবিধানিক ও রাজনৈতিক সংকট দেখা দেবে, সেটা বিএনপি চায় না।
সূত্র : ইত্তেকাফ