বাংলাদেশ ও ভারত সম্পর্ক শুধু দেশ দুটির সরকারের ওপর নির্ভর করে না, তাদের জনগণের ওপরেও নির্ভর করে। এই প্রবাদটি আরও বেশি সত্য হয়ে উঠেছে। সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমসের সম্পাদকীয়তে বলা হয়েছে,
ভূমি, মানুষ, খাবার, সংস্কৃতিসহ নানা বিষয় নিয়ে ভারত ও বাংলাদেশের মানুষের মধ্যে অভিন্ন স্মৃতি রয়েছে। বিশেষ করে ইলিশ মাছ রয়েছে দুই দেশের পরিচয়ের উত্তরাধিকারের মূলে। ইলিশ শুধু হাজার হাজার বাঙালির গর্বের খাবারই নয়, দুই দেশের মানুষের সঙ্গে মানুষের যোগাযোগেরও অন্যতম শক্তিশালী মাধ্যম।
সম্প্রতি একটি ভালো খবর পাওয়া গেছে বাংলাদেশের তরফ থেকে। দেশটি ইলিশ রপ্তানির ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছে এবং কলকাতায় ৩ হাজার টন ইলিশ রপ্তানির ঘোষণা দিয়েছে।
গত ৫ আগস্ট ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হয়ে শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়ে আসার পর অন্তর্বর্তী সরকার বাংলাদেশের রাষ্ট্রক্ষমতা গ্রহণ করে। এরপর দুই দেশের সম্পর্কের অবনতি হয়। পশ্চিমবঙ্গের জন্য সবচেয়ে বড় অস্বস্তির খবর ছিল, দুর্গাপূজার সময় বাংলাদেশ থেকে ইলিশ রপ্তানি না করার সিদ্ধান্ত।
দুর্গাপূজার সময় কলকাতার বাঙালিদের পাতে ইলিশ থাকবে না, এটি কল্পনাও করা যায না। পূজা ছাড়াও বিয়ের অনুষ্ঠানসহ আরও বিভিন্ন অনুষ্ঠানে খাবারের তালিকায় ইলিশ থাকে। যাইহোক, শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশ ইলিশ রপ্তানি করতে রাজি হওয়ায় কলকাতার মানুষদের বার্ষিক উৎসবে উজ্জ্বলতা ফিরে এসেছে।
এর মধ্যে নিশ্চয় কিছু শিক্ষা রয়েছে। রাষ্ট্রের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক যতটা না আবেগের, তারচেয়ে বেশি সমঝোতার। কখনো কখনো রাষ্ট্রের সম্পর্কের প্রতীকগুলোও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে। ফলে শুভকামনা জানানোর বিকল্প নেই।