অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান বলেন, সবইত বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। আমরা চেষ্টা করছি বন্ধ চিনিকলগুলো একটা পর একটা চালু করার জন্য। এর মধ্যে কৃষকদের প্রোণদনা দেয়ার ব্যাপার আছে। আমরা এর আগে ১২০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছিলাম। এখন আরও ১০০ কোটি টাকা বরাদ্দ হচ্ছে।
শনিবার (১৬ নভেম্বর) বেলা ১১টার দিকে দিনাজপুরের সেতাবগঞ্জ চিনিকল পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
শিল্প উপদেষ্টা বলেন, বর্তমান সরকারের প্রধানের দিকনির্দেশনায় চিনিকল চালুর বিষয় নিয়ে টাস্কফোর্স করা হয়েছে। এর মধ্যে আখ চাষীর প্রতিনিধিরাও আছে। যারা আখ চাষ নিয়ে কাজ করেন তারাও আছেন। আমরা চেষ্টা করছি কাজগুলো একটা পর একটা করতে।
তিনি আরও বলেন, আমরা চেষ্টা করছি কাজগুলো একটা পর একটা করতে। সেতাবগঞ্জ সে জায়গায় সম্ভবনাময় জায়গায়। যেখানে বন্ধ করা হয়েছিল।আমরা খোলার জন্য চিন্তা করেছি। আপনারা দোয়া করবেন। যেনো আমরা তাড়াতাড়ি করতে পারি।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে শিল্প উপদেষ্টা বলেন, এখানকার ছাত্র জনতার দাবির পরিপেক্ষিতে যত দ্রুত সম্ভব সমস্ত ভূমি দস্যুদের দমন করে আমরা এ জমি উদ্ধার করব।
তিনি আরও বলেন, দিনাজপুরের সেতাবগঞ্জ চিনিকলের আখ উৎপাদনের জন্য অনেক জায়গা রয়েছে। এ চিনিকলের আওতায় যে সব জমি রয়েছে, সেই জমিতে আখ চাষ করা হবে এবং আশপাশের কৃষকরাও যদি আখ চাষ করেন তাহলে আমাদের সেতাবগঞ্জ চিনিকল এই অঞ্চলের মানুষের জন্য একটি আশীর্বাদ হিসাবে ফিরে আসবে।
এ চিনিকল চালু হলে এই এলাকার বেকার শ্রমিকরাও কাজে যোগদান করতে পারবে। অনেকের ভাগ্যের চাকা পরিবর্তন হয়ে যাবে। আমরা চেষ্টা করছি চলতি অর্থবছরের মধ্যেই আখ উৎপাদন শুরু হয়ে যাবে। এবং কাঁচামাল হিসেবে এই আখ চিনিকলে চিনি উৎপাদন করবে এবং সেই চিনি দেশের মানুষের চাহিদা পূরণ করতে পারবে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন শিল্প মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব জাকিয়া সুলতানা, বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্যশিল্প কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান ড. লিপিকা ভদ্র, দিনাজপুর জেলা প্রশাসক রফিকুল ইসলাম,বোচাগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মারুফ হাসান,সেতাবগঞ্জ চিনিকিলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবুল বাশার প্রমুখ।