১৫ বছর আগে বিডিআর বিদ্রোহে পিলখানার মর্মান্তিক হত্যাকাণ্ডে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, শেখ সেলিম, ফজলে নূর তাপসসহ আরও অনেকে সরাসরি জড়িত ছিলেন বলে দাবি করেছেন নিহতদের স্বজনরা। একইসঙ্গে তাদের গ্রেপ্তার করে বিচারের দাবি জানিয়েছেন তারা।
শনিবার দুপুরে রাজধানীর মহাখালীর রাওয়া ক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়। এ সময় বিডিআর হত্যাকাণ্ডে নিহত সেনা ও সিভিলিয়ানদের পরিবার তিন দফা দাবি জানান।
শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করার ৫০ দিনের মধ্যেই ২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি ঢাকার পিলখানায় তৎকালীন বিডিআরদের একটি গ্রুপ দ্বারা বিদ্রোহ সংঘটিত হয়।
সংবাদ সম্মেলনে নিহত মেজর শাকিলের ছেলে রাকিন আহমেদ দাবি করেন, পিলখানা হত্যাকাণ্ডে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, ফজলে নুর তাপস ও শেখ সেলিম সরাসরি জড়িত।
এছাড়া নেপথ্যে আরও রয়েছে। স্বাধীন তদন্ত কমিশন গঠন হলে তাদের নামও আসবে।এ সময় নিহত সেনা কর্মকর্তা কর্নেল শফিকের ছেলে অ্যাডভোকেট সাকিবুর বলেন, লেফটেন্যান্ট জেনারেল জাহাঙ্গীর আলম সেই সময় কোয়ার্টার মাস্টার জেনারেল হিসেবে বিডিআর হত্যাকাণ্ডের তদন্ত কমিটিতে ছিলেন।
রিপোর্টটি প্রকাশ করেছেন সেটি তিন দফা সংশোধন করার পর মিডিয়ায় দেওয়া হয়েছিল। তিনি সেই রিপোর্টের ‘র’ কপি প্রকাশের দাবি জানান।
নিহত পরিবারের সদস্যরা বলেন, এই হত্যাকাণ্ডের পেছনে ভারতের হাত রয়েছে। এছাড়া হত্যকাণ্ডের ঘটনায় ডাল-ভাত নিয়ে দ্বন্দ্বের যে কথা প্রচার করা হয় তা সত্য নয়। এ হত্যাকাণ্ডটিকে ভিন্নখাতে নিতেই এমন কথা প্রচার করা হয়েছিল।
তারা আরও জানান, দেশে স্বৈরাচারী শাসকের পতন হওয়ার মাধ্যমে যে মুক্ত বাক-স্বাধীনতার স্বাদ পেয়েছে বাঙালি। তেমনি শহীদ সেনাদের নামে ১৫ বছর হয়ে আসা অপপ্রচার বন্ধ ও সঠিক ইতিহাস প্রচার করুন।