ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পিটিয়ে হত্যা করা তোফাজ্জল (৩০) ছোটবেলা থেকেই পড়াশোনায় খুব ভালো ছিল বলে জানিয়েছেন তার বাল্যবন্ধু ও স্থানীয় ইউপি সদস্য সুমন মিয়া।
তিনি বলেন, দুর্দান্ত ছাত্র হলেও একটা মেয়ের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক করতে গিয়ে মানসিক ভারসাম্যহীন হয়ে পড়েন সে। তবে কারও সঙ্গে কখনো খারাপ কোনো আচরণ করেনি।
বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) সকালে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বরগুনার পাথরঘাটায় কাঁঠালতলী ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের তালুকের চরদুয়ানি গ্রামের মৃত আব্দুর রহমানের ছোট ছেলে তোফাজ্জল। তার বড় ভাই পুলিশের এসআই পদে কর্মরত ছিলেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, তোফাজ্জলের পরিবারের কোনো সদস্য বেঁচে নেই। বাবা, মা ও ভাই একে একে সবাইকেই হারিয়েছেন তিনি। পরিবারের কেউ না থাকায় কখন কোথায় থাকেন তা কেউ খোঁজও রাখে না। একটি সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে তার জন্ম হয়। তিনি পিরোজপুর সোহরাওয়ার্দী কলেজ থেকে অনার্স-মাস্টার্স শেষ করেন।
১০ বছর আগে তার বাবা সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হন। এর তিন বছর পর তার মা মারা যান। একমাত্র ভাই মরণব্যাধি ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে চিরবিদায় নিলে তাকে দেখাশোনা করার মতো কেউ ছিল না। একপর্যায়ে পড়াশোনার ফাঁকে রাজনীতিতেও জড়িয়ে পড়েন। এক সময় কাঁঠালতলী ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন।
তোফাজ্জলের চাচা আব্দুল জলিল বলেন, আমার ভাতিজা যদি অন্যায় করেও থাকে তার জন্য আইন রয়েছে। তাকে আইনের আওতায় এনে বিচার করা যেত। তাকে নৃশংসভাবে এভাবে হত্যা করায় আমি এই হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।
পাথরঘাটা থানার ওসি আল মামুন কলবেলাকে বলেন, তোফাজ্জেল মানসিক ভারসাম্যহীন সেটা আমিও জানি। তবে বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) তার মৃত্যুর খবর পেয়ে খুবই খারাপ লেগেছে। পরিবারের লোকজন তার মরদেহ আনার জন্য ঢাকায় গেছেন।