21 C
Dhaka
Wednesday, February 26, 2025

নজিরবিহীন পদোন্নতি: পিয়ন থেকে সহকারী ব্যবস্থাপক হলেন যারা

নজিরবিহীন এক পদোন্নতির ঘটনা ঘটেছে রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ তেল, গ্যাস ও খনিজ সম্পদ কর্পোরেশনে (পেট্রোবাংলা)। গত ১৫ আগস্ট ৫ কর্মচারীকে নিরাপত্তা সহকারী ও অফিস সহায়ক পদ থেকে সরাসরি সহকারী ব্যবস্থাপক পদে পদোন্নতি দেওয়া হয়েছে।

এ নিয়ে পেট্রোবাংলা সূত্রের দাবি, যথাযথ নিয়ম মেনেই পদোন্নতি প্রদান করা হয়েছে। কিন্তু এই ঘটনা সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপক সমালোচনার জন্ম দিয়েছে।

পিয়ন থেকে সরাসরি সহকারী ব্যবস্থাপক (প্রশাসন) পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা হলেন- বেগম খন্দকার সাবিউন নাহার, মো. সেলিম, মো. আবু তাহের তালুকদার, বেগম আয়েশা আক্তার খাতুন ও মো. গিয়াস উদ্দিন।

পেট্রোবাংলা সূত্রে জানা গেছে, সহকারী ব্যবস্থাপক (প্রশাসন) পদে পদোন্নতি পেয়েছেন খন্দকার সাবিউন নাহার নামের এক কর্মচারী, যিনি একজন অফিস সহায়ক ছিলেন। একইভাবে সহকারী ব্যবস্থাপক (প্রশাসন) পদে পদোন্নতি পেয়েছেন ক্রয় সহকারী মো. সেলিম।

সাঁটলিপিকার মো. আবু তাহের তালুকদারকেও সহকারী ব্যবস্থাপক (প্রশাসন) করা হয়েছে। একই পদে পদোন্নতি পেয়েছেন ভান্ডার সহকারী বেগম আয়েশা আক্তার খাতুন এবং নিরাপত্তা সহকারী মো. গিয়াসউদ্দিন।

পেট্রোবাংলার অফিস আদেশে বলা হয়, নবম গ্রেড পাওয়া এই পাঁচজন মূল বেতন পাবেন ২২ হাজার টাকা, বাড়িভাড়া মিলিয়ে তারা পাবেন ৫৩ হাজার ৬০ টাকা।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, পেট্রোবাংলার চাকরি প্রবিধানমালা ১৯৮৮ এবং ২০০৮ সালের সাংগঠনিক কাঠামো অনুযায়ী ১৩তম গ্রেডে ন্যূনতম চাকরিকাল ১২ বছর হলে তিনি সহকারী ব্যবস্থাপক পদে পদোন্নতির যোগ্য হবেন। পেট্রোবাংলায় ১২তম, ১১তম ও ১০ম গ্রেড নেই। তাই ১৩তম গ্রেড থেকে কেউ পদোন্নতি হলে সেটা সরাসরি ৯ম গ্রেডেই যায়।

পেট্রোবাংলার পদোন্নতির মানদণ্ড ও নীতিমালা ২০১৬ অনুযায়ী প্রতিষ্ঠানটি একটি কমিটি গঠন করে কমিটির মাধ্যমে উল্লিখিত কর্মচারীদের শিক্ষাগত যোগ্যতা, শেষ ১২ বছরের এসিআর নম্বর, অভিজ্ঞতা, শৃঙ্খলা, চাকরিজীবনের অর্জন ও সার্বিক সুনাম প্রভৃতি মানদণ্ড মূল্যায়ন করে তাদেরকে পদোন্নতিযোগ্য হিসেবে বিবেচনা করে।

একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ১৯৮৮ সালের চাকরির বিধিমালা অনুসারে এসব প্রার্থীকে পদোন্নতি দেওয়া হয়েছে। এর আগেও অনেকে এভাবে পদোন্নতি পেয়েছেন।

মহাব্যবস্থাপক (নাম প্রকাশ করার শর্তে) বলেন, এটি কোনোভাবেই পেট্রোবাংলার চাকরি বিধিমালা ও সরকারের বিধিমালার সঙ্গে মিল রেখে করা হয়নি। এগুলো জোর করে নেওয়া হয়েছে। এটা খুবই খারাপ দৃষ্টান্ত হয়ে থাকল। কারণ, পিয়ন পদে যোগদান করে নবম গ্রেডে আসার সুযোগ নেই। তারপরে এটা কীভাবে হলো, সেটা আমরা বুঝতে পারছি না।

তারা আরও বলেন, পিয়ন পদে যোগদান করে নবম গ্রেডে আসার সুযোগ নেই। তারপরে এটা কীভাবে হলো, সেটা আমরা বুঝতে পারছি না।

সর্বশেষ সংবাদ
জনপ্রিয় সংবাদ