নেপথ্যে দুই ‘ভিলেন’। বিশ্ব উষ্ণায়ন এবং জলবায়ু পরিবর্তন। আর এরই খেসারত দিতে হচ্ছে মহাসাগরগুলিকে। সত্যিই বিপদ ধেয়ে আসছে ‘মহাসিন্ধুর ওপার থেকে’!
যে হারে সমুদ্রের পানি বাড়ছে, তা যদি আগামী দিনেও একইভাবে চলতে থাকে, তাহলে ২০৫০ সালের মধ্যে আমেরিকার ১২টি উপকূলীয় শহরের প্রতি ৫০ জন বাসিন্দার মধ্যে একজন পড়বেন বন্যার মুখে। বিপদের খাঁড়া ঝুলছে ভারতের বেশ কিছু শহরের উপরও।
আবহাওয়াবিদ-পরিবেশবিদদের গবেষণা রিপোর্টে আশঙ্কা করা হচ্ছে, এই শতক শেষ হতে হতে এদেশের ১২টি শহর চলে যাবে প্রায় তিন ফুট জলের তলায়।
তালিকায় রয়েছে মুম্বই, চেন্নাই, কোচি, বিশাখাপত্তনম, কান্ডালা, ওখা, ভাওনগরের মতো বেশ কিছু শহর। এমনকী, নাসার তথ্যও এই রিপোর্টকে সমর্থন করছে। ফলে উদ্বেগ ক্রমশ বাড়ছে।
কিন্তু কেন এই পরিস্থিতি? কারণ খুঁজতে গেলে আগে জানতে হবে, পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা এবং জলবায়ুর পরিবর্তনের কুফল নিবারণে মহাসাগর অর্থাৎ পৃথিবীর জলভাগের গুরুত্ব কী? আসলে, বাতাসে উপস্থিত গ্রিনহাউস গ্যাসে যে বিপুল পরিমাণ তাপ বন্দি হয়ে থাকে,
তার অধিকাংশই শোষণ করে মহাসাগরগুলি। পাশাপাশি এটি কার্বন-ডাই-অক্সাইড গ্যাসও শোষণ করে। এই প্রচণ্ড তাপ শোষণের ফলে একদিকে যেখানে সামুদ্রিক বাস্তুতন্ত্রের ক্ষতি হয়েছে বিস্তর, তেমনই অন্যদিকে বেড়েছে বন্যা-ঝড়ের প্রাদুর্ভাব।
বিশেষ করে ক্ষতির মুখে বিশ্বের উপকূলীয় শহরগুলি। রিপোর্ট বলছে, ১৯০১ সাল থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত বিশ্বব্যাপী সমুদ্রস্তরের গড় উচ্চতা বেড়েছে ১৫-২৫ সেন্টিমিটার।
২০০৬ থেকে সমুদ্রের জলতলের উচ্চতা প্রতি বছর বেড়ে চলেছে ৩.৭ মিলিমিটার হারে। আমেরিকার শিয়রে বিপদ, কারণ সেখানকার ৩২টি উপকূলীয় শহরের মধ্যে ২৪টিই বছরপ্রতি ২ মিলিমিটার হারে ডুবছে।