অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নেওয়া দুজনের দপ্তর বণ্টন করা হয়েছে। রবিবার (১১ আগস্ট) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে তাদের দপ্তর বণ্টনের কথা জানানো হয়।
সাবেক কূটনীতিক সুপ্রদীপ চাকমা পার্বত্য চট্টগ্রাম ও ডা. বিধান রঞ্জন রায়কে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
এর আগে দুপুর ১টায় অন্তর্বর্তী সরকারের দুই উপদেষ্টা শপথ গ্রহণ করেন। তাদের শপথবাক্য পাঠ করান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। নতুন এ সরকারের শপথ নেওয়ার বাকি ছিলেন তিনজন।
এদের মধ্যে বিধান রঞ্জন রায় ও সুপ্রদীপ চাকমা শপথ নিলেও ফারুক-ই-আজম এখনো শপথ নেননি। তিনি যুক্তরাষ্ট্র থেকে আজ রাতে দেশে পৌঁছাবেন। তিনি সোম বা মঙ্গলবার শপথ নিতে পারেন।
এর আগে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত হয় অন্তর্বর্তী সরকার। বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) রাতে ড. ইউনূস ও ১৩ উপদেষ্টার শপথ নেয়ার পর তাদের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়/দপ্তর ভাগ করে দেয়া হয়।
এরমধ্যে ২৭টি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে রয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। রাষ্ট্রপতির আদেশে শুক্রবার (৯ আগস্ট) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে জারি করা প্রজ্ঞাপনে উপদেষ্টাদের দপ্তর বণ্টনের বিষয়টি জানানো হয়।
ড. ইউনূসের দায়িত্বে থাকা মন্ত্রণালয়গুলো হলো- ১. মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, ২. প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়, ৩. সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ, ৪. শিক্ষা মন্ত্রণালয়, ৫. সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়, ৬. খাদ্য মন্ত্রণালয়, ৭. গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়, ৮. ভূমি মন্ত্রণালয়, ৯. বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়, ১০. কৃষি
মন্ত্রণালয়, ১১. বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়, ১২. রেলপথ মন্ত্রণালয়, ১৩. জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়, ১৪. বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়, ১৫. নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়, ১৬. পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়, ১৭. মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়, ১৮. দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়, ১৯. তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়, ২০. প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক
কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়, ২১. বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, ২২. শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়, ২৩. সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়, ২৪. বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়, ২৫. মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়, ২৬. পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং ২৭. প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।
অন্যদের মধ্যে সালেহ উদ্দিন আহমেদ অর্থ ও পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেয়েছেন। পাশাপাশি ড. আসিফ নজরুল আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়; আদিলুর রহমান খান শিল্প মন্ত্রণালয়;
হাসান আরিফ স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়; মো. তৌহিদ হোসেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেয়েছেন।
এ ছাড়াও শারমীন এস মুরশিদ সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, ড. আ. ফ. ম. খালিদ হোসেন ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং ফরিদা আখতার মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়,
নুরজাহান বেগম স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়, মো. নাহিদ ইসলাম ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় এবং আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়াকে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।