প্রশ্নফাঁসের অভিযোগ ওঠায় ৪৪, ৪৫ ও ৪৬তম বিসিএসের কার্যক্রম বাতিলের দাবি জানিয়েছেন চাকরিপ্রার্থীদের একটি অংশ।
এ দাবিতে সরকারি কর্ম কমিশনে (পিএসসি) অবস্থান নিয়েছিলেন তারা। পরে পিএসসি’র একাধিক কর্মকর্তার সঙ্গে আলোচনা শেষে ফিরে যান চাকরিপ্রার্থীরা।
রবিবার (১১ আগস্ট) নিজেদের চাকরিপ্রার্থীদের প্রতিনিধি পরিচয় দিয়ে এসব প্রার্থী পিএসসিতে জড়ো হন। পরে সংস্থাটির ৭১ মিলনায়তনে পিএসসি সচিব মো. আবদুল্লাহ আল মাসুদ চৌধুরীর সাথে আলোচনা করেন তারা।
আলোচনার সময় চাকরিপ্রার্থীরা বলেন, পিএসসি’র উপর কালো কালির দাগ লেগেছে। এই দাগ পরিস্কার করতে পিএসসিকে উদ্যোগ নিতে হবে। চাকরিপ্রার্থীদের আস্থার জায়গা নষ্ট হয়েছে।
যে সকল নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নফাঁসের অভিযোগ উঠেছে যেগুলো বাতিল করতে হবে। বিশেষ করে ৪৪, ৪৫ ও ৪৬তম বিসিএসের কার্যক্রম বাতিল করে নতুন করে পরীক্ষা নিতে হবে।
চাকরিপ্রার্থীরা বলেন, বিসিএসের প্রশ্নফাঁস নিয়ে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। পিএসসিও তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। অতিদ্রুত তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করতে হবে।
এই প্রতিবেদনে যে পরীক্ষাগুলোর প্রশ্নফাঁস হওয়ার প্রমাণ মিলবে সেগুলো বাতিল করতে হবে। ঘটনার সাথে যারা জড়িত, তাদের কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে।
চাকরিপ্রার্থীদের এসব দাবি আমলে নিয়ে পিএসসি কর্মকর্তারা বলেন, ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার কথা ছিল। তবে দেশের সার্বিক পরিস্থিতির কারণে তদন্তে খুব একটা অগ্রগতি হয়নি। যারা কারাগারে রয়েছেন, তাদের সাথে কথা বলার সুযোগ হয়নি।
তবে এসব প্রক্রিয়া শেষ করে প্রতিবেদন জমা দেওয়া হবে। প্রতিবেদন পাওয়ার পর এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পিএসসি’র আওতাধীন যে কোনো পরীক্ষার প্রশ্নফাঁসের প্রমাণ মিললে সেটি বাতিল করার নিশ্চয়তাও দেন তারা।
চাকরিপ্রার্থীদের সঙ্গে আলোচনার সময় আরও উপস্থিত ছিলেন, পিএসসি’র পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (ক্যাডার) আনন্দ কুমার বিশ্বাস, সংস্থাটির যুগ্ম সচিব ড. আব্দুল আলীম খান, পিএসসি চেয়ারম্যানের একান্ত সচিব মোহাম্মদ গোলাম কিবরিয়া, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (নন-ক্যাডার) আবদুল্লাহ আল মামুন,