বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার প্রধানের দায়িত্ব গ্রহণ করায় ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে অভিনন্দন জানিয়েছেন তুরস্কের ফার্স্ট লেডি অ্যামিন এরদোয়ান।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) রাতে ড. ইউনূস অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন। এরপর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে স্ট্যাটাস দিয়ে ড. ইউনূসকে শুভেচ্ছা জানান অ্যামিন।
ওই স্ট্যাটাসে অ্যামিন লেখেন, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধানের দায়িত্ব পাওয়ায় আমি আনন্দিত। এ পদে তার সাফল্য কামনা করি। বাংলাদেশে ড. ইউনূসের মূল্যবান সেবা সমাজের সব অংশকে আশা ও শান্তি দেবে। এই উপলক্ষে, আমি বাংলাদেশের বন্ধুত্বপূর্ণ এবং ভ্রাতৃপ্রতিম জনগণকে তাদের সমৃদ্ধি এবং মঙ্গলের জন্য আমার আন্তরিক শুভেচ্ছা জানাই।
প্রসঙ্গত, নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে ১৭ জনকে নিয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করা হয়েছে। বঙ্গভবনের দরবার হলে বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) রাত ৯টা ২৭ মিনিটে শপথ নিয়েছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টারা।
প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে প্রথমে ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে শপথ পাঠ করান রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন। এরপর বাকি ১৬ উপদেষ্টার মধ্যে ১৩ জন শপথ পাঠ করেন। ঢাকার বাইরে থাকায় তিন উপদেষ্টা ফারুক-ই-আযম, বিধান রঞ্জন রায় এবং সুপ্রদীপ চাকমা শপথ অনুষ্ঠানে উপস্থিত হতে পারেননি।
১৯৭১ সালে স্বাধীনতার পর বাংলাদেশের সংকটময় অর্থনীতির অনিশ্চিত গন্তব্যের একটি স্থায়ী সমাধানের লক্ষ্যে রাষ্ট্র ও সরকারের অভ্যন্তরে অনেকেই তৎপর ছিলেন। বেশ কয়েকজন অর্থনীতিবিদও এগিয়ে এসেছিলেন একটি গতিশীল ও উন্নয়নমূলক আর্থসামাজিক ব্যবস্থা গড়ে তোলার সেই প্রচেষ্টায়।
এ ক্ষেত্রে অত্যন্ত ব্যতিক্রম হিসেবে আবির্ভূত হন অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডকে প্রত্যন্ত গ্রামীণ সমাজে ছড়িয়ে দেওয়ার ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা নেওয়ার পাশাপাশি বাংলাদেশের নারীদের ক্ষমতায়নের অবরুদ্ধ দুয়ার খুলে দেওয়ার ক্ষেত্রে প্রথম ও প্রধান নায়ক।
সারাবিশ্বে সম্মানিত, সমাদৃত ও স্বীকৃত হিসেবে যাদের নাম উচ্চারিত হয়, ড. ইউনূস তাদেরই একজন। তার প্রতিষ্ঠিত গ্রামীণ ব্যাংক ও ক্ষুদ্রঋণের ধারণা শুধু বাংলাদেশই নয়, উন্নত বিশ্বেও ঝড় তুলে দিয়েছে, যা বিশ্বের অনেক দেশে এমনকি সবচেয়ে ধনী ও অগ্রসর দেশের কোটি মানুষকে দারিদ্র্য থেকে বেরিয়ে আসতে সাহায্য করেছে।
তাই এবার ড. ইউনূসের প্রতি জনসাধারণের আশা ব্যাপক। ছাত্র-জনতা আশা করছেন, তার হাত ধরে বাংলাদেশ নতুন গন্তব্য পাবে।