“বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ক্ষমতায় আসলে সকল প্রকার চাঁদাবাজি বন্ধ হবে, নিপীড়ন, অত্যাচার ও নির্যাতন বন্ধ হবে। যার অধিকার সে পাবে, যিনি অন্যায়ের শিকার হবে আইনের আশ্রয় নিবে। আইন হাতে তুলে নিতে দেয়া হবে না।
যেই স্বাধীন দেশে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী রয়েছে কাউকে অন্যায় করতে দেয়া হবে না” বলেছেন কেন্দ্রীয় কর্ম ও শূরা পরিষদ সদস্য ও পটুয়াখালী জেলা জামায়াতে ইসলামীর আমীর অধ্যাপক মু. শাহ আলম। ২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর লগি- বৈঠার হামলার বিচার ও নিহতের স্মরণে পটুয়াখালীর গলাচিপায় আয়োজিত গণসমাবেশ এ কথা বলেন তিনি।
বুধবার (৩০ অক্টোবর) বিকেলে ৪ টায় গলাচিপা পৌর মঞ্চে জামায়াতে ইসলামী গলাচিপা উপজেলা শাখার আয়োজনে এ গণ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। জামায়াতে ইসলামী গলাচিপা উপজেলা শাখার আমীর ডা. মাওলানা জাকির হোসাইন এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কেন্দ্রীয় সূরার সদস্য ও পটুয়াখালী জেলা আমীর অধ্যাপক মু. শাহ আলম।
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী গলাচিপা উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মো.সানাউল্লাহ শামিম এর সঞ্চালনায় প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ ল’ইয়ার্স কাউন্সিল এর সহ সম্পাদক এ্যাড.আব্দুর রাজ্জাক।
বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জামায়াতে ইসলামী পটুয়াখালী জেলা শাখার নায়েবে আমীর এ্যাড.মু.নাজমুল আহসান। এছাড়াও বক্তব্য রাখেন, গলাচিপা পৌর আমীর মাওলানা বেলাল বিন সুলতান, জেলা সদস্য মো. হবিবুর রহমান ফোরকান, গলাচিপা উপজেলা সাবেক আমীর ও জেলা সদস্য অধ্যাপক মাওলানা মো. ইয়াহিয়া খাঁন, জেলা জামায়াতে ইসলামী সেক্রেটারী মোঃ আবুল বাশার সাইফুল্লাহ, কেন্দ্রীয় শুরা পরিষদের নায়েবে আমীর মাওলানা মো. আব্দুস সালাম খান প্রমুখ।
প্রধান অতিথি অধ্যাপক মু.শাহআলম তার বক্তব্যে বলেন, আওয়ামী লীগ ফ্যাসিস্ট সরকার নির্বিচারে গুলি করে শত শত ছাত্র-জনতাকে শহিদ করেছে। তাদের রক্তের উপর দাঁড়িয়ে আজ আমরা স্বাধীনভাবে কথা বলতে পারছি। তাদের রক্তের মূল্য ইনশাআল্লাহ আমরা পরিশোধ করব এ দেশে ন্যায় ও ইনসাফ ভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে।
তিনি আরও বলেন, আল কোরআনের আইন, ইসলামি শাসন ব্যবস্থা ছাড়া রাষ্ট্রে পরিপূর্ণ শান্তি প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব না। এসময় জেলা আমীর শাহ আলম বলেন, যদি আমাকে কখনো দ্বায়িত্ব দেন অঙ্গীকার করছি সকল প্রকার অসত্য, অন্যায় ও অবিচারকে দমন করে সত্য ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় কাজ করবো।
গলাচিপা শহরে বহমান খাল খননের বিষয় তিনি সরকারকে আহ্বান জানান খালের দুইপাশের বাসিন্দাদের বিকল্প ব্যবস্থা করে তারপর উন্নয়ন কার্যক্রম চালাতে হবে।
গণ সমাবেশে প্রধান অতিথিকে শুভেচ্ছা জানাতে ও বরণ করতে বিশাল শহরে বিশাল মোটরসাইকেল শোডাউন দেওয়া হয়। সমাবেশস্থলে বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে জামায়াতে ইসলামীর নেতাকর্মী সমর্থকরা উপস্থিত হয়।
এছাড়াও সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন যুব বিভাগ ও ছাত্রশিবিরের সদস্যরা। পরে সন্ধ্যায় পৌর মঞ্চ চত্বরে ২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর স্মরণে প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।