দীর্ঘদিন পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ক্যাম্পাসে প্রকাশ্যে এসেছে ছাত্রশিবিরের শাখা সভাপতি ও সেক্রেটারি। তাদের পরিচয় প্রকাশ্যে আসার পর জনমনে চলছে নানা আলোচনা ও সমালোচনা।
তবে এই সংগঠনকে গোপন ও নিষিদ্ধ সংগঠন বললেন ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব। আজ শনিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) এক অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন।
ছাত্রদল সভাপতি রাকিব বলেন, বিগত সাড়ে ১৫ বছর ছাত্রদল প্রতিটি ক্যাম্পাসে কমিটি দিয়ে আমাদের কার্যক্রম পরিচালনা করেছি। আমরা পূর্ণাঙ্গ কমিটি প্রকাশ করার মাধ্যমে প্রকাশ্যে দিবালোকে আমাদের কর্যক্রম পরিচালনা করছি।
এসময় তিনি ছাত্রশিবিরকে ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে একটি গোপন ও নিষিদ্ধ সংগঠন রয়েছে; তারা সাড়ে ১৫ বছর ছাত্রলীগের পতাকাতলে থেকে এবং তাদের আশ্রয়ে থেকে তারা একজনও প্রকাশ্যে আসার সাহস পায়নি।
“আমরা দাবি জানাচ্ছি, যদি নৈতিক সাহস থেকে থাকে তাহলে বিগত সাড়ে ১৫ বছরের প্রতিটি কমিটি আপনারা প্রকাশ করে দেখুন। আমরা দেখতে চাই এই সময়ে আপনাদের ব্যানারের কারা কারা ছাত্ররাজনীতি করেছে।
ছাত্রসমাজ জানতে চাই, আপনাদের নেতাকর্মী কারা। যদি তাদের কমিটি প্রকাশ হয়, দেখবেন ছাত্রলীগের অপকর্মের দোষরাই তাদের নেতাকর্মী। এরকম সংগঠন আগামী সময়ে কোনো ষড়যন্ত্রে লিপ্ত থাকলে সঙ্গে সঙ্গে আমরা ব্যবস্থা নেবো।”
ছাত্রদল সভাপতি বলেন, গত সাড়ে ১৫ বছরে শেখ হাসিনা সরকারের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে ছাত্রদল নীতি-আর্দশকে বুকে ধারণ করে সকল ক্যাম্পাসে আমরা রাজনীতি করেছি। এসময়ে আমরা একটি দিনের জন্যও পরিচয় লুকিয়ে রেখে কোনো ক্যাম্পাসে প্রবেশ করিনি। আমরা ছাত্রলীগের কিংবা ফ্যাসিস্টদের দোসরদের সঙ্গে হাত মেলায়নি।
আমার ভাইদের গুলি করা হয়েছে, হত্যা করা হয়েছে তারপরও তাদের সহকর্মীরা ভয় পেয়ে রাজপথ ছেড়ে যাননি। সেভাবে ফ্যাসিস্টদের মোকাবেলা করে আজ আমরা হাসিনা মুক্ত বাংলাদেশে বসবাস করি। সেক্ষেত্রে গোপন কোনো সংগঠনের বাধা থাকলে আমরা দাঁতভাঙা জবাব দেব।
তিনি বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কৃতিত্ব নিয়ে অনেক গোপন সংগঠন অনেক কৃতিত্ব দাবি করছে, তবে আমরা ছাত্রদল লুকিয়ে লুকিয়ে মুচকি মুচকি হাসি। যেকোনো ধরনের ষড়যন্ত্র করলে বাংলাদেশ থেকে উচ্ছেদ করার হুশিয়ারি দিয়ে তিনি আরও বলেন, আপনার এমন কোনে ষড়যন্ত্র করবেন না আবার ১৯৭১ সালের ন্যায় আপনাদের আবার বড় ধরনের বিচারের মুখোমুখি হয়ে হয়। এভাবে এই গোপন সংগঠনের তৎপরতার মাধ্যমে ইতিমধ্যে সাধারণ শিক্ষার্থীরা তাদেরকে বয়কট করেছে এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেখেছেন তাদেরকে।
“আমি শুধু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কথাই বলি, সেখানে শুধু গোপন সংগঠনটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক প্রেস ব্রিফিং করেছে, টিভিতে টক-শোতে যায় এবং শিক্ষকদের সঙ্গে দেখা করে। তাদের সঙ্গে একজনও নেতাকর্মী নেই যে সামনে আসার মতো নৈতিক ক্ষমতা নেই। অর্থাৎ, আগামীতে এই ধরনের কোনো সংগঠন যদি কোনো ষড়যন্ত্র লিপ্ত থাকলে তাহলে ছাত্রদল তাদের প্রতিহত করবে।”