ঐতিহাসিক ৭ নভেম্বর ‘জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস’ উপলক্ষ্যে গতকাল শুক্রবার (৮ নভেম্বর) রাজধানীতে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা করে বিএনপি। র্যালিতে সরকারি টিচার্স ট্রেনিং কলেজ ছাত্রদলের নেতাকর্মীরাও অংশগ্রহণ করেছেন। পাশাপাশি তাদের ব্যানারে নিষিদ্ধঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের বিভিন্ন ইউনিটের নেতাদের সরব উপস্থিতি দেখা গেছে। এ ঘটনার সমালোচনার মুখে পড়েছে সরকারি টিচার্স ট্রেনিং কলেজ ছাত্রদল।
জানা যায়, ‘জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস’ উপলক্ষ্যে শুক্রবার বিকেলে রাজধানী নয়াপল্টনস্থ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এরপর বিএনপি ও তার অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা রাজধানীতে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের করে।
এই শোভাযাত্রায় সরকারি টিচার্স ট্রেনিং কলেজ ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের সঙ্গে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ও টিচার্স ট্রেনিং কলেজ শাখা ছাত্রলীগের একাধিক নেতাকে দেখা গেছে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও শোভাযাত্রার একাধিক ছবিতে দেখা গেছে, শাখা ছাত্রদলের সঙ্গে এই কর্মসূচিতে অংশ নেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ শাখা ছাত্রলীগের উপ-আপ্যায়ন সম্পাদক নূর এ আরাবি সুপ্র, টিচার্স ট্রেনিং কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি মো. আল রাইয়ান রকি ও যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মো. মফিজুল ইসলাম সুজন, শাখা ছাত্রলীগের সাবেক বিজ্ঞান ও তথ্য প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক নুর আলম নোমান প্রমুখ।
এ বিষয়ে জানতে সরকারি টিচার্স ট্রেনিং কলেজ ছাত্রদলের সদস্য সচিব ফিহান আলমের সঙ্গে মুঠোফোনে বারবার যোগাযোগ করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।
তবে বিষয়টি অস্বীকার করে শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক রিয়াদ হাসান দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, “এই কর্মসূচির একটি ছবি আমিও পেয়েছি। সেখানে যে ছেলের কথা বলা হচ্ছে তিনি ১০ দিন আগে পাবনা টিচার্স ট্রেনিং কলেজ থেকে বদলি হয়ে এখানে এসেছে। এমনকি এখনও হলে উঠেনি। তাহলে ছাত্রলীগ কীভাবে করবে?” এছাড়া বাকি ছবিগুলোর বিষয়ে তিনি মন্তব্য করেননি।
ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছির জানান, এই ঘটনা নিয়ে তিনি কিছু জানেন না। তবে ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে, পাশাপাশি ঘটনাটি তদন্তও করা হবে বলে তিনি জানান।