চট্টগ্রামের কর্ণফুলী উপজেলার মইজ্জ্যারটেক এলাকায় একটি চলন্ত বাসে এক নারী সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছেন।
এ ঘটনায় মামলা করেছেন ভুক্তভোগী নারীর স্বামী। মামলার পর বাসের চালক আজাদ খান (২৩) ও তার সহকারী সাহেদুল ইসলামকে (১৯) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এরপর আদালতে ধর্ষণের কথা স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন তারা।
মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় নগরীর বাকলিয়া থানার নতুন ব্রিজ বাসস্ট্যান্ড থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার আজাদ পটিয়ার জিরি ইউনিয়নের ভেল্লাপাড়া গ্রামের মৃত হাশেম খানের ছেলে এবং সাহেদুল আনোয়ারার রায়পুর ইউনিয়নের সরেঙ্গা গ্রামের ছৈয়দুল হকের ছেলে।
বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) গণমাধ্যমকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন কর্ণফুলী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মেহেদী হাসান।
তিনি বলেন, ‘ঘটনার তিন দিন পর মঙ্গলবার ভুক্তভোগী নারীর স্বামী বাদী হয়ে কর্ণফুলী থানায় মামলা করেন। এতে বাসের চালক ও তার সহকারীকে আসামি করা হয়। পরে দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।’
নগর পুলিশের উপ-কমিশনার (বন্দর) শাকিলা সুলতানা জানান, ‘গত ৬ সেপ্টেম্বর পটিয়ায় এক আত্মীয়ের বাড়িতে বেড়াতে গিয়েছিলেন ভুক্তভোগী নারী। রাত সাড়ে ৯টার দিকে জেলার পটিয়া মনসা বাসস্ট্যান্ড থেকে বাকলিয়া তুলাতলী এলাকায় স্বামীর বাসায় ফেরার জন্য একটি বাসে ওঠেন।
বাসটি নগরের কর্ণফুলী থানার চারপাথরঘাটা শাহ আমানত সেতু টোল প্লাজার কাছে পৌঁছালে চালক ও তার সহকারী তাকে ধর্ষণ করে। ওই সময় বাসে ওই নারী একা ছিলেন। ঘটনার সময় বাসটিকে বিভিন্ন রুটে চালক ও তার সহকারী ঘোরায়। রাত সাড়ে ১১টার দিকে ওই নারীকে পটিয়া শান্তিরহাট এলাকায় নামিয়ে দেওয়া হয়।’