বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীদের ওপর আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ ও যুবলীগ নেতাকর্মীদের হামলায় আহত শিক্ষার্থীদের খোঁজখবর নিতে রাতেই গাজীপুরে আসেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ ও কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক সারজিস আলম।
শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাত ৩টায় শহীদ তাজউদ্দিন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন শিক্ষার্থীদের খোঁজ-খবর নেন তারা।
এই হামলার প্রতিবাদে আজ গাজীপুর জেলা শহরের রাজবাড়ি মাঠে বিশাল বিক্ষোভ সমাবেশের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। অপরদিকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত ওই ঘটনায় কোনো অভিযোগ ও মামলা হয়নি।
এর আগে, শুক্রবার রাত ৯টার দিকে গাজীপুর মহানগরীর ধীরাশ্রম দাক্ষিণখান এলাকায় সাবেক মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী ও গাজীপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আ ক ম মোজাম্মেল হকের বাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগ তুলে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা করেছে স্থানীয় লোকজন। এতে অন্তত ১৫ শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। এদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের গাজীপুরের নেতাকর্মীরা জানান, হামলায় আহতদের প্রায় সবাইকেই গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দিন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আহতদের দেখতে শুক্রবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ ও কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক সারজিস আলম হাসপাতালে আসেন।
তারা আরও জানান, ধানমন্ডিতে ভাঙচুরের ঘটনার পর আমরা গাজীপুরের বিভিন্ন এলাকায় প্রচার করেছি কোথাও ভাঙচুর হলে আমাদের জানাতে। শুক্রবার রাতে আমাদের কাছে খবর আসে ধীরাশ্রম এলাকায় সাবেক মন্ত্রীর বাড়িতে হামলা ও লুটপাট হচ্ছে। খবরটি শোনার পর প্রতিহত করতে আমাদের শিক্ষার্থীরা রওনা হয়।
দ্রুত ১৫ থেকে ২০ জন ঘটনাস্থলে চলে যান। সেখানে গিয়ে দেখা যায় লুটপাট হচ্ছে। এ সময়ে মাইকে ঘোষণা দিয়ে শত শত মানুষ জড়ো হয়ে যায়। তাদের হাতে রামদাসহ বিভিন্ন অস্ত্র ছিল। অনন্য শিক্ষার্থীরা আসার আগেই ওই ১৫-১৬ জনকে বাসার ছাদে নিয়ে বেধড়ক পেটায়, কুপিয়ে জখম করে। পরে অনন্য শিক্ষার্থীরা ঘটনাস্থলে গেলে তাদেরকেও পেটায়।
গাজীপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আরিফুর রহমান বলেন, ওই ঘটনায় সকাল ১০টা পর্যন্ত কোনো অভিযোগ বা মামলা দায়ের করা হয়নি।