ভবিষ্যৎ বাংলাদেশ কেমন হবে, এক ফেসবুক পোস্টে তা জানিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক আসিফ মাহমুদ।
তিনি বলেন, ছাত্র-জনতার এই গণঅভ্যুত্থান সংঘটিত হয়েছে বাংলাদেশ রাষ্ট্রকে মেরামত করে ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থার বিলোপ সাধন করার জন্য। কোনো নির্দিষ্ট দল কিংবা গোষ্ঠীর ক্ষমতার আকাঙ্ক্ষা চরিতার্থ করার জন্য নয়।
বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে দেওয়া ফেসবুক পোস্টে এসব কথা বলেন তিনি।
আসিফ মাহমুদের পোস্টটি ঢাকা পোস্ট পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হলো—
ছাত্র-জনতার এই গণঅভ্যুত্থান সংঘটিত হয়েছে বাংলাদেশ রাষ্ট্রকে মেরামত করে ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থার বিলোপ সাধন করার জন্য। গণ-অভ্যুত্থানে গঠিত অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের দায়িত্ব হবে ছাত্র নাগরিকের আশা-আকাঙ্ক্ষার বাস্তবায়ন করা। কোন নির্দিষ্ট দল কিংবা গোষ্ঠীর ক্ষমতার আকাঙ্ক্ষা চরিতার্থ করার জন্য নয়।
ছাত্র-জনতার প্রস্তাবিত অন্তর্বর্তীকালীন সরকার প্রতিষ্ঠা ও দাবি অনুযায়ী রাষ্ট্র মেরামত না হওয়া পর্যন্ত ছাত্র-জনতা সতর্ক ও সজাগ আছে এবং থাকবে।
যেকোনো ধরনের সাম্প্রদায়িক উসকানি, জনগণের সম্পত্তির ক্ষতি সাধন ও বিশৃঙ্খলা প্রতিহত করতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন সংগঠিত আছে এবং জনগণের সঙ্গে থেকে কাজ করে যাচ্ছে।
শান্তি প্রতিষ্ঠায় যুদ্ধ করেছি আমরা, এখন আবার দায়িত্ব নিয়ে সেই যুদ্ধের ক্ষয়ক্ষতিও নিরাময় করছি। ভলান্টারি এক্টিভিটির মাধ্যমে দেশের দায়িত্ব নেওয়া ছাত্র-জনতাকে স্যালুট জানাই।
প্রসঙ্গত, গণবিক্ষোভের মুখে গত সোমবার বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে যান সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। হাসিনা সরকারের পতনের পর দেশের নিয়ন্ত্রণ নেয় সেনাবাহিনী।
এখন প্রফেসর ডক্টর মুহাম্মদ ইউনূসের অধীনে বাংলাদেশে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত হতে যাচ্ছে। আগামীকাল বৃহস্পতিবার দুপুর ২টা ১০ মিনিটে এমিরেটসের একটি ফ্লাইটে তার দেশে আসার কথা রয়েছে।